চলতি পাকিস্তান সুপার লিগে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বাবর আজম। প্রায় প্রতি ম্যাচেই রান করে চলেছেন তিনি। তবে বারবার প্রশ্ন উঠেছে তাঁর স্ট্রাইক-রেট নিয়ে। ১০ ম্যাচে ইতিমধ্যেই ৫০০ রানের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছেন বাবর। সেঞ্চুরি করেছেন একটি এবং ৫টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তবে সমালোচকদের একাংশের দাবি, ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সকেই নাকি গুরুত্ব দিচ্ছেন বাবর।
পাকিস্তান সুপার লিগের কোয়ালিফায়ারেও সেই একই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল বাবরকে। ক্যাপ্টেন নিজে বড় রান পেলেন। তবে ম্যাচ হেরে বসল দল। আসলে বাবর নিজের জন্য খেলতে গিয়ে কোয়ালিফায়ারে পেশোয়ার জালমিকে ডোবালেন বলে আওয়াজ উঠছে পাক ক্রিকেটমহলে।
বৃহস্পতিবার করাচিতে চলতি পিএসএলের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে মহম্মদ রিজওয়ানের মুলতান সুলতানস ও বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পেশোয়ার জালমি। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পেশোয়ার। যদিও তারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খলেতে পারেনি মোটেও। পেশোয়ার নির্ধারিত ২০ ওভারে দেড়শো রানের গণ্ডিও টপকাতে ব্যর্থ হয়। তারা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে।
এক্ষেত্রে বাবরের ঠুকঠুকে ব্যাটিংয়ের জন্যই যে বড় রানের ইনিংস গড়া সম্ভব হয়নি পেশোয়ারের, সেই বিষয়ে একমত অনেকেই। কেননা বাবর ওপেন করতে নেমে ৪৬ রান সংগ্রহ করতেই ৪২টি বল খরচ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টেও এর থেকে দ্রুত রান তুলতে দেখা যায় অনেক ব্যাটারকে। বাবর সতর্ক ইনিংসে এদিন ৫টি চার মারেন।
এছাড়া মহম্মদ হ্যারিস ২২, টম কোহলির-ক্যাডমোর ২৪, রোভম্যান পাওয়েল ১২, পল ওয়াল্টার ১৪ ও লিউড উড ১৪ রানের যোগদান রাখেন। মুলতানের ক্রিস জর্ডন ও উসামা মীর ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন ডেভিড উইলি, মহম্মদ আলি ও আব্বাস আফ্রিদি।
আরও পড়ুন:- Ranji Trophy Champion Mumbai: রঞ্জি ফাইনালে মুম্বইকে আহ্লাদে আটখানা করলেন যে ৮ জন
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুলতান সুলতানস ১৮.৩ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪৭ রান সংগ্রহ করে নেয়। অর্থাৎ, ৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালের টিকিট পকেটে পোরে মুলতান। এই নিয়ে টানা চারবার পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালে উঠল মুলতান।
ওপেন করতে নেমে মুলতানের ইয়াসির খান দাপুট হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। ২৮ বলে ৩৬ রান করেন উসমান খান। তিনি ৩টি চার মারেন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার আহমেদ। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ বলে ১৫ রানের ধীর ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। ম্যাচের সেরা হন উসামা মীর।
হারলেও এখনই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হচ্ছে না বাবরদের। বরং তারা দ্বিতীয় এলিমিনেটরে মাঠে নামবে প্রথম এলিমিনেটরের জয়ী দলের বিরুদ্ধে। প্রথম এলিমিনেটরে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে ইসলামাবাদ ও কোয়েট্টা।