সামনেই রয়েছে এশিয়া কাপ। ঠিক তার পর দেশের মাটিতে শুরু হয়ে বিশ্বকাপ। চাপটা অনুভব করছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার মধ্যে আবার বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়েও তিনি বেশ চাপে। রোহিতের কোর গ্রুপের ১৮ জনের মধ্যে অন্তত তিন জনকে বাদ দিতে হবে। কারণে বিশ্বকাপের দলে ১৫ জনকেইরাখা যাবে। আর সেই অপ্রত্যাশিত কাজ নিয়েও রোহিত কিন্তু বেশ চাপে।
তিনি পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সেরা কম্বিনেশন বাছাই করার সময়ে, এমন অনেক প্লেয়ারই থেকে যাবে, যারা বিভিন্ন কারণে মিস করবে বিশ্বকাপ। রাহুল ভাই (দ্রাবিড়) এবং আমি খেলোয়াড়দের বোঝানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কেন তারা দলে নেই। প্রতি বার দল নির্বাচন এবং একাদশ ঘোষণা করার পর আমরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। আমরা তাদের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলি, কেন তাদের বাছাই করা যায়নি, সেটা স্পষ্ট করার চেষ্টা করি।’
আরও পড়ুন: গত বিশ্বকাপে যে মানসিক স্থিতিতে ছিলাম সেখানে ফিরতে চাই, অকপট ফর্ম হাতড়ানো রোহিত
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘২০১১ সালে যখন আমাকে বাছাই করা হয়নি, তখন সেটা আমার কাছে বড় যন্ত্রণার বিষয় হয়ে উঠেছিল। এবং আমি অনুভব করেছি যে, বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার পরে মনে অবস্থা কী রকম থাকে? আমি, কোচ এবং নির্বাচকেরা প্রতিপক্ষ, পিচ, আমাদের শক্তি বা দুর্বলতা মতো সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার করার পরেই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছই। আমরা যে সব সময়ে নিখুঁত হই, এমনটাও কিন্তু নয়। দিনের শেষে মানুষ হিসেবে ভুল হতেই পারে আমাদের। সব সময়ে আমরা সঠিক থাকব, এমনটাও তো নয়।’
রোহিত মনে করেন যে, খোলা মনে প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গি এবং চারপাশের অন্যান্যরা কী ভাবছে, সেটা জানা দরকার। তিনি বলেছেন, ‘কোনও একজনকে আমি পছন্দ করি না, তাই তাকে বাদ দেব, এমনটা কিন্তু নয়। অধিনায়কের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের উপর ভিত্তি করে দল নির্বাচন হয় না। যদি কাউকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলেও তার পিছনে নির্দিষ্ট কোনও কারণ থাকতেই হবে। সেক্ষেত্রে আপনার ভাগ্য যদি খারাপ থাকে, তাহলে তো আমার কিছুই করার নেই।’ তিনি যোগ করেছেন, ‘২০১১ বিশ্বকাপের সময়ে দল নির্বাচন নিয়ে আমি দুঃখিত ছিলাম এবং মন খারাপ করে ঘরে বসেছিলাম এবং পরবর্তীতে কী করব তা জানতাম না। আমার মনে আছে যুবি (যুবরাজ সিং) আমাকে ওর ঘরে ডেকেছিল এবং আমাকে ডিনারের জন্য নিয়ে গিয়েছিল।’
সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে রোহিত আরও বলেছেন, ‘ও আমাকে ব্যাখ্যা করেছিল, তোমার সামনে অনেকগুলো বছর পড়ে আছে। এই সময়টা কাজে লাগাও। কঠোর পরিশ্রম করো। তোমার খেলার দক্ষতা বাড়াও এবং প্রত্যাবর্তন করো। এমন নয় যে, তুমি ভারতের হয়ে আর খেলবেই না বা বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে না। অধিনায়ক এমএস ধোনি এবং নির্বাচকেরা মনে করেছিল যে, একজন অতিরিক্ত ব্যাটারের চেয়ে, রিস্ট স্পিনার হিসেবে পীযূষ চাওলা বেশি কার্যকরী হবে। তাই ওকে দলে নিয়েছিল। তবে আমি এর পর কঠোর পরিশ্রম করি। এবং বিশ্বকাপের পরপরই ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করি। যেহেতু এই সময়টার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, তাই কেউ বলতে পারবে না যে, মুখেই আমি সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলছি।’