লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ারের কাজে বেজায় চটেছিলেন শুভমন গিল। তৃতীয় আম্পায়ার নীতীন মেনন আল্ট্রা এজ ব্যবহার না করে শুধুমাত্র রিপ্লে দেখেই সিদ্ধান্ত জানানোয় প্রশ্ন তুলেছিলেন গুজরাট দলনায়ক। যদিও মেনন যে সঠিক সিদ্ধান্তই জানিয়েছেন, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না।
এবার জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন ফের একবার আম্পায়ারের উপর ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় শুভমন গিলকে। গত ম্যাচে ক্যাপ্টেনের সঙ্গে আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার কাজে যোগ দিয়েছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। এদিন গিলের পাশাপাশি আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ দেখায় গুজরাটের কিপার ম্যাথিউ ওয়েডকে।
রাজস্থান বনাম গুজরাট ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ার কেএন অনন্তপদ্মনাভন মহা ভুল করে বসেন। তিনি নিজের সিদ্ধান্তকেই পুনরায় বদলাতে বাধ্য হন। ফলে তৈরি হয় সংশয়। ১৭তম ওভারের শেষ বল করতে গিয়ে মোহিত শর্মা ওয়াইড করে বসেন। যদিও ব্যাটসম্যান অফ-স্টাম্পের দিকে শাফল করায় ওয়াইড নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে গুজরাট শিবির। ফলে রিভিউয়ের আবেদন জানান শুভমন গিল।
তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখে ফিল্ড আম্পায়ারকে জানান যে, সেটি বৈধ ডেলিভারি। তাই তিনি যেন ওয়াইড না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ফিল্ড আম্পায়ার বলটিকে ওয়াইড দিয়েছিলেন। তাই তিনি কীভাবে ওয়াইড না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন, সেটাই বুঝে উঠতে পারেননি ফিল্ড আম্পায়ার। তিনি বিষয়টি তৃতীয় আম্পায়ারকে জানান। পরে তৃতীয় আম্পায়ার পুনরায় রিপ্লে দেখে বলটিকে ওয়াইড ঘোষণা করেন।
তৃতীয় আম্পায়ার প্রথমে স্পষ্ট জানান বলটি ওয়াইড নয়। ঠিক তার পরেই ফের তিনি সিদ্ধান্ত দেন এই মর্মে যে, বলটি আসলে ওয়াইড। এই দ্বিচারিতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন গুজরাট দলনায়ক শুভমন গিল। তিনি ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে এই নিয়ে তর্ক জুড়ে দেন। ওয়েডকেও আম্পায়ারের সিদ্ধাতে অখুশি প্রকাশ করতে দেখা যায়। যদিও শেষমেশ বলটিকে ওয়াইড বলে মেনে নিতে বাধ্য হয় টাইটানস শিবির।
বুধবার রাজস্থান রয়্যালস ঘরের মাঠে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৬ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। তিনবার জীবনদান পেয়ে রিয়ান পরাগ ৪৮ বলে ৭৬ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন। তিনি ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ৩৮ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন সঞ্জু স্যামসন। তিনি ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।