শুভব্রত মুখার্জি:- ১৯ নভেম্বর শেষ ওডিআই ফর্ম্যাটে ম্যাচ খেলেছিল ভারতীয় দল। গুজরাটের আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হতাশাজনক হারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল ভারতকে। তারপর প্রথমবার ওয়ানডে ফর্ম্যাটে খেলতে রবিবার মাঠে নেমেছিল ভারতীয় দল। কেএল রাহুলের নেতৃত্বে ভারত খেলতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে। প্রোটিয়াভূমে টি-২০ সিরিজ ড্র হয়ে যাওয়ার পরে ওয়ানডে সিরিজে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় দল। জোহানেসবার্গের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বিরাট ব্যবধানে জিতেছে ভারতীয় দল। ওয়ানডে সিরিজে লিড নিয়েছে তারা।ম্যাচ জেতার পর ভারত অধিনায়ক কেএল রাহুলের মন্তব্য যা আশা করেছিলাম তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটা জয় পেয়েছি। পাশাপাশি তিনি জানান এই জয়ের জন্য বোলারদেরকেও কৃতিত্ব দিতে হবে।
ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক কেএল রাহুল জানিয়েছেন, ‘আমি খুব খুশি। জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করতে পারাটা অত্যন্ত আনন্দের। আমরা যে ধরনের জয় আশা করেছিলাম তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটা জয় পেয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ম্যাচে যতটা সম্ভব স্পিনারদেরকে আনা যায়। আমাদের প্রত্যেকটা ছেলে খুব ভালো খেলেছে। প্রত্যেকে শৃঙ্খলাবদ্ধ ক্রিকেট খেলেছে। বল প্রথমদিকে খুব বেশি সুইং করেছে। এই মুহূর্তে প্রচুর পরিমাণে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। যে কোন একটি ফর্ম্যাটকে যে কোন ক্রিকেটারের প্রধানত লক্ষ্য দেওয়া উচিত। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে টেস্ট এবং টি-২০ ফর্ম্যাটকে সবাই গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রত্যেকেই পারফরম্যান্স করছে। দেশের হয়ে ভালো খেলতে চাইছে। তাদের সবার জন্য এটা খুব ভালো সুযোগ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো খেলার।’
প্রসঙ্গত জোহানেসবার্গের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ভারত আট উইকেটে বিরাট জয় পেয়েছে। ২০০ বল বাকি থাকতে তারা ম্যাচে জয় পেয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়। মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। আর্শদীপ সিং এবং আবেশ খানের দুরন্ত বোলিংয়ে নির্ভর করছ ভারতীয় দল সমস্যায় ফেলে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। আন্দিল ফেলুকায়ো ৩৩ এবং টনি দে জর্জি ২৮ রান করেন। এছাড়া আর কোন ব্যাটার বলার মতন রান পাননি। আর্শদীপ ৫টি এবং আবেশ খান চারটি উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অভিষেক হওয়া সাই সুদর্শনের অপরাজিত ৫৫ এবং শ্রেয়স আইয়ারের ৫২ রানে নির্ভর করে জয় নিশ্চিত করে কেএল রাহুলের ভারতীয় দল।