পাকিস্তান দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা ভাবছেন। শাহিনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে যে, তারকা বোলার ক্ষুব্ধ যে, অধিনায়কত্ব বা কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রে পিসিবি-র চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বা জাতীয় নির্বাচকেরা তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে একবারও তার সঙ্গে কথা বলেননি।
পিটিআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময়ে সূত্রটি দাবি করেছে যে, ‘শাহিন সত্যিই হতাশ। আসলে ও আশা করেছিল যে, বোর্ড বা নির্বাচকেরা ওকে অপসারণ করতে চাইলেও, এর পিছনের কারণ সম্পর্কে ওকে অবহিত করা হবে এবং ওর কাছে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার রাখবে। বিষয়চি শালীন ভাবে হবে।’
সেই সূত্রটি আরও বলেছে যে, শাহিন হতাশ এই কারণে যে, তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি। কারণ পিসিবি প্রধান এই সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচক এবং বাবর আজমের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোচ নিয়োগ এবং অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ২০১৫ সালের পর চিন্নাস্বামীতে কখনও KKR-কে হারাতে পারেনি RCB, বেঙ্গালুরুতে দাদাগিরি বজায় থাকল নাইটদের
সূত্রটি যোগ করেছে, ‘শাহিন বিশ্বাস করে যে, বোর্ড যদি ওকে অপসারণ করতে চায়, তবে ওদের এতক্ষণে জানানো উচিত ছিল। এখন ও নিজেই পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। আসলে এখন ওকে ওর কিছু ঘনিষ্ঠরা এটি করতে এবং সমস্ত কিছু থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বিশৃঙ্খলা এবং বিভ্রান্তি বোর্ডের তরফেই তৈরি করা হয়েছে।’
গত বছর নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর যখন জাকা আশরাফ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ছিলেন, তখন শাহিনকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করা হয়েছিল। পাকিস্তান সুপার লিগে লাহোর কালান্দার্স ফ্র্যাঞ্চাইজিকে পরপর দু'টি শিরোপা জেতানোর দক্ষতার ভিত্তিতে শাহিনের নিয়োগ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: RCB-কে হারিয়ে এক লাফে দুইয়ে উঠল KKR, শীর্ষস্থান হাতছাড়া করছে না CSK, হেরে চাপে কোহলিরা
কিন্তু অধিনায়ক মনোনীত হওয়ার পরে, শাহিনের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তান ১-৪ ব্যবধানে হেরেছে। এবং সাম্প্রতিক পিএসএলে টেবলের লাস্টবয় হিসেবে শাহিনের দল লাহোর কালান্দার্স শেষ করেছে।
ক্রিকেট পাকিস্তানের খবর অনুযায়ী, পাক টি-টোয়েন্টি দলের নেতা হওয়ার দৌড়ে আপাতত এগিয়ে রয়েছেন বাবর আজমঅ। উইকেটকিপার-ব্যাটার মহম্মদ রিজওয়ানও দৌড়ে রয়েছেন। পিএসএলে রিজওয়ান এবং বাবরের নেতৃত্ব প্রশংসিত হয়েছে। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, অনেকেই মনে করেন ২৩ বছর বয়সি শাহিন এই দায়িত্বের জন্য নিতান্তই তরুণ। আরও একটু অভিজ্ঞতা দরকার ওর বলেই মনে করেন কেউ কেউ। বোর্ডের কয়েক জন সদস্য আবার মনে করেন, বিশ্বকাপের আগে নেতৃত্ব পরিবর্তন করা সঠিক হবে না। দলের উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে চেয়ারম্যানই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।