ব্যাটে-বলে একা লড়লেন ক্যাপ্টেন সিকন্দর রাজা। বাকিদের থেকে তেমন একটা সাহায্য পেলেন না। ফলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে জয়ের মুখ থেকে ফিরতে হল জিম্বাবোয়েকে। শেষ বলের থ্রিলার জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে যায় দ্বীপরাষ্ট্র।
কলম্বোর আর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবোয়ে। সিকন্দর রাজার অধিনায়কোচিত হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে। সিকন্দর ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এছাড়া তিনাশি ২৬, ক্রেগ আরভাইন ১০, শন উইলিয়ামস ১৪, রায়ান বার্ল ৫, ব্রায়ান বেনেট অপরাজিত ১০ ও লিউক জংউই অপরাজিত ১৩ রান করেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে ক্যাপ্টেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে ১৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন মাহিশ থিকশানা। দুষ্মন্ত চামিরা নেন ৩৮ রানে ১টি উইকেট। উইকেট পাননি অ্যাঞ্জেলো ম্য়াথিউজ, নুয়ান তুষারা ও দাসুন শানাকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা একসময় ১৯ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৩০ রান তোলে। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ১৪ রান। শেষ ওভারে মুজারাবানির প্রথম ২টি বলে পরপর ২টি চার মারেন ম্য়াথিউজ। তৃতীয় বলে কোনও রান ওঠেনি। চতুর্থ বলে আউট হন অ্যাঞ্জেলো। পঞ্চম বলে চার মারেন চামিরা। শেষ বলে জয়ের জন্য ২ রান দরকার ছিল শ্রীলঙ্কার। ২ রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন চামিরা।
অর্থাৎ, শ্রীলঙ্কা ম্যাচের একেবারে শেষ বলে জয় তুলে নেয়। তারা ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৪ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে। ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৪৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ম্যাথিউজ। শ্রীলঙ্কা একসময় ৮৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অ্যাঞ্জেলো।
১৮ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন দাসুন শানাকা। তিনি ৪টি চার মারেন। কুশল মেন্ডিস ১৭, কুশল পেরেরা ১৭ ও চরিথ আশালঙ্কা ১৬ রান করেন। সিকন্দর রাজা ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন। অর্থাৎ, ব্যাট হাতে হাফ-সেঞ্চুরি ও বল হাতে ৩টি উইকেট নিয়েও জিম্বাবোয়েকে জেতাতে পারেননি রাজা। তিনি ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থেকে যান। ম্যাচের সেরা হন ম্যাথিউজ।
আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার শেষ বলে ম্যাচ জেতা এই প্রথম নয়। তারা ২০১০ সালে গ্রস আইলেটে ভারতের বিরুদ্ধে, ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, ২০১৭ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এবং ২০১৭ সালেই জিলংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ বলের থ্রিলারে আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ জেতে।