রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের আগ্রাসনের সামনে আত্মসমর্পণ করে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম ম্যাচে হার বাংলার। মোহালিতে মহারাষ্ট্রের কাছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত হন সুদীপ ঘরামিরা।
পঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৮ রান তোলে। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে যেতে হয় রণজ্যোৎ খাইরাকে। অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন ক্যাপ্টেন সুদীপও।
রণজ্যোৎ ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ বলে ৪৪ রান করে মাঠ ছাড়েন ঘরামি। এছাড়া অভিষেক পোড়েল ১৫, শাহবাজ আহমেদ ১১, হাবিব গান্ধী ৯, ঋত্বিক রায়চৌধুরী ১৭ ও করণ লাল ৩ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন।
মহারাষ্ট্রের হয়ে ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন আর্শিন কুলকার্নি। ১টি করে উইকেট নেন প্রদীপ দাধে, ভিকি ওস্তওয়াল ও আজিম কাজী। উইকেট পাননি রাজবর্ধন হাঙ্গার্গেকর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মহারাষ্ট্র ১৪.২ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৩৪ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে তারা। ওপেন করতে নেমে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৮২ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন তিনি।
ক্যাপ্টেন কেদার যাদব ২৬ বলে ৪০ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১২ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন আজিম কাজী। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ১৩ রান করে মাঠ ছাড়েন কুলকার্নি।
বাংলার আকাশ দীপ ৪ ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট দখল করেন। প্রদীপ্ত প্রামানিক ৩ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন। মুকেশ কুমার ২ ওভারে ৩০ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি। ইশান পোড়েল ২ ওভারে ৩৫ রান খরচ করেও উইকেটহীন থাকেন। শাহবাজ ৩ ওভারে ৩৩ রান খরচ করেন। তিনিও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি।