তৃতীয় দিনে সেট হয়েও উইকেট দিয়ে আসেন সাই সুদর্শন, রজত পতিদার, সরফরাজ খানরা। তবে একবার বাইশগজে সড়গড় হওয়ার পরে ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের আগে থামলেন না তিলক বর্মা, ধ্রুব জুরেল, অক্ষর প্যাটেলরা। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা-এ দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্টে দাপুটে ব্যাটিং পারফর্ম্যান্স উপহার দেয় ভারতীয়-এ দল। দলগত ব্যাটিং পারফর্ম্যান্সে ভর করে প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসকে অনায়াসে টপকে যায় ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকা-এ দলের ২৬৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয়-এ দল তৃতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তোলে। তার পর থেকে খেলতে নেমে ভারত ৬ উইকেটে ৩২৭ রান তুললে দুই দলনায়কের সম্মতিতে চতুর্থ তথা শেষ দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। ভারত প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৬৪ রানের লিড নেয়। দু'দলের ১টি করে ইনিংস খেলা হওয়ায় ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়।
ভারতের হয়ে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিলক বর্মা ৫০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ১৬৯ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে উইকেটকিপার ধ্রুব জুরেল ৬৯ রান করে আউট হন। ১৬৬ বলের ইনিংসে তিনি ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন অক্ষর প্যাটেল। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬১ বলে ৫০ রান করে নট-আউট থাকেন। ৩২ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
এর আগে ম্যাচের তৃতীয় দিনে অভিমন্যু ঈশ্বরন ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে ১৮ রান করে আউট হন। সাই সুদর্শন ব্যক্তিগত ৩০ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন। ৩৭ বলের ইনিংসে তিনি ৫টি চার মারেন। রজত পতিদার করেন ৩৩ রান। ৬৭ বলের ইনিংসে তিনি ৬টি চার মারেন। সরফরাজ খান করেন ৩৪ রান। ৪০ বলের ইনিংসে তিনিও ৬টি চার মারেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিয়র্ন ফরচুইন ৭৮ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা-এ দল প্রথম ইনিংসে ২৬৩ রানে অল-আউট হয়। সেপো মরেকি ৪২, জোহানেস ভ্যান ডিক ৪১, ম্যাথু ব্রিৎজকে ৩৬ ও সিনথেম্বা কেসিল ৩৪ রান করেন। আবেশ খান ৫৪ রানে ৫ উইকেট দখল করেন। ৪৫ রানে ২টি উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।