ব্যাট হাতে মোটে ২টি বল খেলার সুযোগ পান। তাতেই ১টি ছক্কা-সহ ৭ রান যোগ করেন দলের ইনিংসে। পার্টটাইমার হিসেবে বল করার সুযোগ মেলেনি। তবে তিরুবনন্তপুরমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে দুরন্ত ফিল্ডিং করেন তিলক বর্মা।
বিশেষ করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে জোশ ইংলিসের যে ক্যাচটি ধরেন তিলক, তাকে এককথায় অনবদ্য বলা ছাড়া উপায় নেই। যদিও ম্যাচে তুলনায় একটি সহজ ক্যাচও ছাড়েন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসের ৪.২ ওভারে বিষ্ণোইয়ের বলে স্লগ সুইপ মারার চেষ্টা করেন ইংলিস। যদিও বল ঠিকমতো কানেক্ট হয়নি ব্যাটে। হাওয়ায় ভেসে যায় বল। মিড অনে পিছন দিকে দৌড়ে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন তিলক। তিনি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে ডাইভও দেন। তবে বল হাতছাড়া করেননি তিলক। তৃতীয় আম্পায়ার টেলিভিশন রিপ্লে দেখে নিশ্চিত করেন যে, পরিচ্ছন্নভাবে ক্যাচ ধরেছেন তিলক। ফলে ব্যক্তিগত ২ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরতে হয় ইংলিসকে।
পরে দ্বিতীয় ইনিংসের ১১.২ ওভারে আর্শদীপ সিংয়ের বল তুলে মারেন মার্কাস স্টইনিস। বল লং-অফ বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করা তিলক বর্মার হাত ছুঁয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। এমনটা নয় যে, বল তিলকের নাগালের বাইরে ছিল। আসলে যথা সময়ে লাফাতে পারেননি তিনি। বাউন্ডারি লাইনে পা ছুঁয়ে যেতে পারে, এই ভয়েই ভুল করে বসেন তিলক। ফলে আউট হয়ে মাঠ ছাড়ার বদলে ছয় রান উপহার পেয়ে যান স্টইনিস।
ব্যক্তিগত ২৩ রানে জীবনদান পাওয়া স্টইনিস শেষমেশ ৪৫ রান করে আউট হন। যদিও আখেরে লাভ কিছু হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। তারা ৪৪ রানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৫ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
হাফ-সেঞ্চুরি করেন যশস্বী জসওয়াল, রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ইশান কিষান। যশস্বী ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ৫৩ রান করেন। রুতুরাজ ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্য়ে ৪৩ বলে ৫৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৫২ রান করে আউট হন ইশান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৯১ রানে আটকে যায়।