অকারণ ঝুঁকি নয়, বরং পিচ ও পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রথমে ঠান্ডা মাথায় হাফ-সেঞ্চুরি করেন নীতীশ রানা। পরে সুপার ওভারে ব্যাট চালিয়ে দলের জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন নয়ডা সুপার কিংসের দলনায়ক। রানার প্রয়াসকে ব্যর্থ হতে দেননি ভুবনেশ্বর কুমার। বল হাতে দলের জয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ভুবি।
চলতি ইউপি টি-২০ লিগের ১৪ নম্বর ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে নীতীশ রানার নেতৃত্বাধীন নয়ডা সুপার কিংস ও করণ শর্মার কাশী রুদ্রাস। কাশীকে সুপার ওভারে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের চতুর্থ জয় তুলে নেয় নয়ডা।
কানপুরের গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কাশী। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন প্রিন্স যাদব। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৫০ রান করে আউট হন। ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৩৭ রান করেন শিবম বনসাল। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৩৬ রান করেন শিব সিং।
নয়ডার ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ২৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ১টি করে উইকেট নেন কুণাল ত্যাগী, সৌরভ কুমার ও প্রশান্ত বীর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নয়ডাও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে। ম্যাচ টাই হওয়ায় লড়াই গড়ায় সুপার ওভারে। নীতীশ রানা ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৯ বলে ৫৮ রান করেন। ১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন প্রশান্ত বীর। ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৩৮ রান করেন আলমাস শৌকত।
কাশীর অটল বিহারী রাই ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন মহম্মদ শারিম ও ক্যাপ্টেন করণ শর্মা।
সুপার ওভারে শুরুতে ব্যাট করে নয়ডা বিনা উইকেটে ১৯ রান সংগ্রহ করে। নীতীশ রানা ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১৬ রান করেন। পালটা ব্যাট করতে নেমে কাশী সুপার ওভারে ১১ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি। অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার সুপার ওভারে দুর্দান্ত বল করে নয়ডাকে জয় এনে দেন।