গদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইশগজকে রানের খনি বললে মোটেও ভুল বলা হয় না। চলতি এশিয়া কাপের মোট ৩টি ম্যাচ আয়োজিত হয় লাহোরে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৩৩৪ ও আফগানিস্তান ২৪৫ রান তোলে। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২৯১ রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান ৩৭.৪ ওভারেই ২৮৯ রান সংগ্রহ করে।
বুধবার গদ্দাফিতেই সুপার ফোর রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। কিউরেটরের দাবি ছিল, তিনটি ম্যাচের মধ্যে সব থেকে ভালো ব্যাটিং পিচ বানানো হয়েছে সুপার ফোরের ম্যাচেই। পিচ রিপোর্টেও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন যে, বিস্তর রান উঠবে পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে।
পিচের সম্ভাব্য চরিত্র অনুমান করেই বাংলাদেশ দলনায়ক শাকিব আল হাসান টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁর সিদ্ধান্তের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ১৯৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পিচে রান করা যে বিশেষ সমস্যার নয়, ব্যাট হাতে হাফ-সেঞ্চুরি করে শাকিব নিজে সেটা দেখিয়ে দেন সতীর্থদের। হাফ-সেঞ্চুরি করেন বহু যুদ্ধের নায়ক মুশফিকুরও।
এমন ব্যাটিং সহায়ক পিচে ছোটখাটো লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করা বিশেষ অসুবিধার হয়নি পাকিস্তানের পক্ষে। তারা ৪০ ওভারের আগেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
এশিয়া কাপ সংক্রান্ত যাবতীয় খবর, তথ্য-পরিসংখ্যান ও লাইভ স্কোর আপডেটে চোখ রাখতে ক্লিক করুন এখানে
ম্যাচের শেষে শাকিবকে রীতিমতো ক্ষুব্ধ শোনায় ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। শান্ত সুরে বাংলাদেশের ব্যাটারদের তুলোধনা করেন ক্যাপ্টেন। তিনি স্পষ্ট জানান যে, এই পিচে ১০ ওভারের মধ্যে ৪টি উইকেট হারানো মেনে নেওয়া যায় না। নিতান্ত খারাপ ব্যাটিং করেই যে তাঁরা হেরেছেন, শাকিব মেনে নিতে কুণ্ঠা বোধ করেননি।
শাকিব বলেন, ‘আমরা শুরুতেই হেরে গিয়েছি। ওরা ভালো বল করেছে, তবে আমরা নিতান্ত সাধারণ সব শট খেলেছি। এই ধরণের পিচে ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারানো উচিত নয়। অথচ সেটাই হয়েছে।’
মুশফিকুরের সঙ্গে নিজের পার্টনারশিপ প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘আমাদের পার্টনারশিপটা ভালো ছিল। তবে আরও ৭-৮ ওভার টেনে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল আমাদের। আমি আউট হওয়ার পরে আর কোনও পার্টনারশিপই তৈরি হয়নি। এরকম পিচে খুব খারাপ ব্যাটিং করেছি আমরা। এখানে বোলারদের উইকেট পেতে হলে বাড়তি কিছু করতে হয়।’
পাকিস্তানকে কৃতিত্ব দিয়ে শাকিব বলেন, ‘ওরা এক নম্বর দল। ওদের দলে বিশ্বমানের তিনজন পেসার রয়েছে। ওরা ভালো বল করলে ওদের ব্যাটসম্যানদের কাজ সহজ হয়ে যায়। আমাদের বোলিং বিভাগ ভালো খেলছে। এই মুহূর্তে ব্যাটিং বিভাগের পারফর্ম্যান্স ভালোয়-মন্দয়। আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে।’