অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন RCB ক্রিকেটার। আর একটু ভুল করলেই ম্যাচ চলাকালীন মৃত্যুর মুখোমুখি হতেন বিরাট কোহলির স্পেশাল বোলার ইসুরু উদানা। আসলে লাইভ ম্যাচে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও উদানার সঙ্গে যা ঘটেছে তা তিনি কখনই ভুলতে পারবেন না। আসলে ক্রিকেট মাঠে এই প্রথম এমন ঘটনা দেখা গেল। আইপিএলে কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলা উদানা বর্তমানে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে বি লাভ ক্যান্ডির হয়ে খেলছেন। লিগের ১৫তম ম্যাচে জাফনা কিংসের বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি। এই ম্যাচেই ঘটে গেল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। সেই ঘটনার ভয়ঙ্কর ভিডিয়োটি এখন বেশ ভাইরাল হচ্ছে।
চলতি লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের ১৫তম ম্যাচে জাফনা কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে খেলতে নামেন ইসুরু উদানা। এই ম্যাচ চলাকালীন একটি সাপ মাঠে ঢুকে পড়ে। প্রথমে ক্যামেরার চোখ বাউন্ডারি পেরিয়ে সাপের ওপর পড়তেই ক্যামেরাম্যানও ক্যামেরা ফেলে পালিয়ে যান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই নিয়ে মোট দ্বিতীয়বার এলপিএল ম্যাচ চলাকালীন মাঠে সাপ দেখা গেল। এর আগে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচের সময় একটি সাপকে মাটিতে হামাগুড়ি দিতে দেখা যায়। অন্যদিকে এই ঘটনা দেখে ম্যাচে ধারাভাষ্য দিতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাবেক ক্রিকেটার শন পোলক মজার কণ্ঠে বলেন- মনে হচ্ছে ক্যামেরাম্যানের বদলি করতে এসেছেন।
এরপর সেই ম্যাচের আরেকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে ম্যাচ চলাকালীন মাঝমাঠে সাপটিকে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে ম্যাচের মধ্যে ডুবে ছিলেন উদানা। তখন তিনি বাউন্ডারি লাইনের দিকে পিছন ফিরেই যাচ্ছিলেন। উদানা পিছিয়ে যাওয়ার সময়ে পিছনের দিকে তাকাননি, সেই সময়ে স্টেডিয়াম থেকে চিৎকার শুনে যখন উদানা পিছনের দিকে দেখেন, তখন তিনি ভয় পেয়ে থমকে যান। আসলে সেই সময় তাঁর ঠিক পিছনেই ছিল একটি বিষাক্ত সাপ। আর একটু পিছলেই হয়তো সাপের উপরে অজান্তেই পা রেখে ফেলতেন উদানা, আর সেটা হলেই বিপদ ডেকে আনতেন তিনি। মাত্র এক বা দুই সেকেন্ডের ব্যবধানে তিনি রক্ষা পান। নইলে যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারত। সে সাপের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল।
এই মাঠেই বসবে এশিয়া কাপের আসর। তার আগে এমন ছবি উদ্যোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের এই মরশুমে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচ চলাকালীন সাপ দেখা গেল। এর আগে লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেও মাঠে সাপ দেখা গিয়েছিল, যার কারণে কিছুক্ষণের জন্য ম্যাচ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এশিয়া কাপ শুরু আগেই লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে বারবার শ্রীলঙ্কার মাঠে সাপ দেখে সকেলই বেশ আতঙ্কিত হচ্ছেন। এখন দেখার এশিয়া কাপের আয়োজকরা এই বিষয়ে কী করেন।
তবে ম্যাচের কথা বললে, বি লাভ ক্যান্ডি এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মোট ১৭৮ রান করে। ক্যান্ডির পক্ষে ওপেনার মহম্মদ হ্যারিস সর্বোচ্চ ৮১ রানের ইনিংস, ফখর জামান ২২ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস করেন ২২ রান। অন্যদিকে বি লাভ ক্যান্ডি দলের ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে জাফনা কিংস দল ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করতে পারেন। এদিনের ম্যাচটি ৮ রানে জেতে বি লাভ ক্যান্ডি। শোয়েব মালিক জাফনার হয়ে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন, কিন্তু তাঁর দলকে জেতাতে পারেননি।