হার দিয়ে শুরু হল সূর্যকুমার যাদব ও তাঁর দলের 'মিশন আফ্রিকা'। মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ পাঁচ উইকেটে হারলো ভারত। সৌজন্যে জেরাল্ড কোয়েটজির দুর্দান্ত বোলিং ও রিজা হেন্ডরিক্সের দাপুটে ব্যাটিং। একটি লড়াকু রান বোর্ডে তোলা সত্ত্বেও ম্যাচ পকেটে তুলতে পারল না ভারত। ভারতীয় বোলারদের দিশাহীন বোলিং রীতিমতো কাজে লাগালো দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১৫ ওভারে ১৫২ রানের লক্ষ্য সহজেই তুলে নিল প্রোটিয়ারা। যদিও ম্যাচে রবি বিষ্ণোই ও শ্রেয়স আইয়ারদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের বাদ যাওয়ায় সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে আঙুল তুলেছেন গৌতম গম্ভীর থেকে শুরু করে পীযূষ চাওলার মতো প্রাক্তন তারকারা। সবার একটাই বক্তব্য দলের প্রধান অস্ত্রকে জায়গা না দিলে কারোরই জয়ের আশা করা উচিত না।
এই নিয়ে গম্ভীর বলেন, 'ঠিক কি কারণে শ্রেয়স আইয়ারকে দলে জায়গা দেওয়া হল না আমি বুঝতে পারছি না। অস্ট্রেলিয়া বিরুদ্ধে শেষ টি-২০ ম্যাচে ও একটা ম্যাচ উইনিং অর্ধশতরান করেছে। তো ওকে জায়গা না দেওয়ার কারণ আমি বুঝতে পারছি না। একমাত্র সূর্যকুমার যাদব ও টিম ম্যানেজমেন্টই এর উত্তর দিতে পারবে।' অন্যদিকে পীযূষ চাওলা বলেছেন, 'ঠিক কিসের ভিত্তিতে রবি বিষ্ণোইয়েক মতো একজন তারকা স্পিনারকে দল নিল না, আমি বুঝে উঠতে পারছিনা। গত সিরিজে ও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে এবং আইসিসি তালিকাতেও ওর উন্নতি হয়েছে। তাহলে কেন জায়গা দেওয়া হল না?'
সমালোচনা করতে বাদ যাননি প্রাক্তন ভারতীয় তারকা সঞ্জয় মঞ্জরেকরও। তিনি বলেন, 'যেটা দেখে আমার আশ্চর্য লাগছে যে শ্রেয়াস আইয়ারের জায়গায় কি করে তিলক বর্মাকে সুযোগ দেওয়া হল? বিশ্বকাপে যা দল দেখেছিলাম তার থেকে এই দল সম্পূর্ণ আলাদা। এই দলে পুরো ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন রয়েছে। আলাদা ফরম্যাট আলাদা ক্রিকেটার। আমি জানি না কিসের ভিত্তিতে দল বেছে নেওয়া হয়েছে।' নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে আকাশ চোপড়া টুইট করে জানিয়েছেন, 'দলে আইয়ার আর বিষ্ণোই কোথায়? গত সিরিজে দুজনেই ভালো পারফর্ম করেছে, তাহলে এই সিরিজে তাদের জায়গা হলো না কেন?'
উল্লেখ্য, এদিন টসে জিতে সূর্যকুমার যাদবদের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় এডেন মার্করাম। ১৯.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ১৮০ রান। তিন বল বাকি থাকতে নামে বৃষ্টি, যার জেরে খেলা হয়না আর বাকি তিনটি বল। সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন পিঞ্চ হিটার ব্যাটার রিঙ্কু সিং। এছাড়াও অর্ধশতরান আসে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকে। তাঁর মোট সংগ্ৰহ ৩৬ বলে ৫৬। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন জেরাল্ড কোয়েটজি এবং একটি করে উইকেট পান মার্কো জানসেন, উইলিয়ামস, তাবরেজ শামসি এবং অধিনায়ক এডেন মার্করাম। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ১৫ ওভারে ১৫২ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ১৩.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় তারা। সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন রিজা হেন্ডরিক্স। অধিনায়ক এডেন মার্করাম করেন ৩০। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন মুকেশ কুমার এবং একটি করে উইকেট পান মহম্মদ সিরাজ ও কুলদীপ যাদব। ম্যাচের সেরা হন শামসি।