বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড়ে প্রবলভাবে উঠে এল আফগানিস্তান। শুক্রবার নেদারল্যান্ডসকে সাত উইকেটে গুঁড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এলেন আফগানরা। টপকে গেলেন পাকিস্তানকে। আপাতত সাত ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে আছেন বাবর আজমরা। আর সমসংখ্যক ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে রয়েছেন আফগানরা। শুধু তাই নয়, ১৮.৩ ওভার (১১১ বল) বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে একধাক্কায় নেট রানরেটও বাড়িয়ে নিলেন। অর্থাৎ আপাতত যে পরিস্থিতি, তাতে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেমিফাইনালে ওঠার ভাগ্য আফগানিস্তানের নিজের হাতেই আছে। যদিও শেষ দুটি ম্যাচ বেশ কঠিন গাঁট হতে চলেছে আফগানদের জন্য। অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামবেন আফগানরা।
তবে শুক্রবার আফগানিস্তান যে এত সহজে জিতবে, তা নেদারল্যান্ডসের ইনিংসের দ্বাদশ ওভারের শুরুর দিকেও বোঝা যায়নি। বরং প্রথম ওভারে উইকেটের ধাক্কা সামলে ভালোভাবে এগোতে থাকেন ডাচরা। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৯ রান যোগ করেন তাঁরা। কিন্তু দ্বাদশ ওভারের তৃতীয় বলে উইকেট হারানোর পর ধস নামে ডাচদের ইনিংসে। ১১.২ ওভারে এক উইকেটে ৭৩ রান থেকে ১৭৯ রানে অল-আউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। অর্থাৎ মাত্র ১০৬ রানে শেষ নয় উইকেট পড়ে যায়।
অন্যদিন এরকম বিপদের মুহূর্তে ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ালেও শুক্রবার সেটা হয়নি। আর ডাচদের জন্য সবথেকে হতাশাজনক বিষয় যে চারটি উইকেট হারাতে হয় রান-আউটের জন্য। ৭৩ রানে যে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে, সেটাও রান-আউট ছিল। পরের দুটি উইকেটও হারাতে হয় রান-আউটের কারণে। অন্যদিকে, আফগানিস্তানের হয়ে তিনটি উইকেট নেন মহম্মদ নবি। ৯.৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তিন উইকেটে নেন। দুটি উইকেট পান নূর আহমেদ। একটি উইকেট পান মুজিব-উর-রহমান।
সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি আফগানদের। ৫.৩ ওভারে লেগসাইডে একটা নির্বিষ বলে আউট হয়ে যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। সেইসময় আফগানদের স্কোর ছিল এক উইকেটে ২৭ রান। তারপর আফগানদের ইনিংসের হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান এবং রহমত শাহ। খুব বড় জুটি না হলেও ওই মুহূর্তে স্নায়ুর চাপ সামলাতে ওই ২৮ রানের পার্টনারশিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দু'জনে মিলে ১০ ওভারের শেষে আফগানদের স্কোর এক উইকেটে ৫৫ রানে নিয়ে যান।
একাদশতম ওভারের প্রথম বলেই জারদান আউট হয়ে গেলেও দুই ‘চেজমাস্টার’ আফগানদের গড় রক্ষা করেন। হাশমতউল্লাহ শাহিদি এবং রহমত ১০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন আফগানিস্তানকে। তৃতীয় উইকেটে ৭৭ বলে তাঁরা ৭৪ রান যোগ করেন। তারপর ২২.৪ ওভারে আফগানিস্তানের দলগত ১২৯ রানে রহমত আউট হয়ে গেলেও তারপর কোনও বিপদ হতে দেননি অধিনায়ক শাহিদি এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৩১.৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলেন। ৬৪ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন শাহিদি। আর ২৮ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই।
সেই জয়ের ফলে সেমির দৌড়ে প্রবলভাবে টিকে থাকলেন আফগানরা। শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটি ম্যাচেই জিতলেন তাঁরা। তবে এই মুহূর্তে তাঁরা সবথেকে হাত কামড়াবেন একটা কথা ভেবেই। সেটা হল যে তাঁরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন। যে বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাকি ছ'টি দল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচটা আফগানিস্তান জিতে গেলে আজই কার্যত সেমি নিশ্চিত হয়ে যেত।
গম্ভীর-ধোনির আসা যাওয়া, রোহিত-হার্দিকের রেষারেষি, কামিন্স-স্টার্কের জারিজুরি, আইপিএল ২০২৪-এর সব খবর, লাইভ ক্রিকেট স্কোর, আইপিএলের সূচি 2024, সব তথ্য পান এক ক্লিকে। গিল না কোহলি, আইপিএলের অরেঞ্জ ক্যাপ 2024 এবার কার দখলে, আইপিএলের পার্পল ক্যাপ 2024 পরবেন কোন বোলার, নাইটদের পরিসংখ্য়ান , যে কোনও প্লেয়ারের আইপিএল 2024 স্ট্যাটস, আগেরবারের যাবতীয় রেকর্ড জানতে পড়ুন HT Bangla।