আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ ২০২৩ অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। তবে তার পর থেকে টানা পাঁচ ম্যাচে হারের মুখ দেখেন শাকিব আল হাসানরা। শনিবার ইডেনে নেদারল্যান্ডসের কাছে লো-স্কোরিং ম্যাচে হার মানে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে তারা প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যায় বলা চলে।
কলকতায় টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নেদারল্যান্ডস। যদিও নিয়মিত অন্তরে উইকেট হারাতে থাকায় বড় রানের ইনিংস গড়া সম্ভব হয়নি ডাচদের পক্ষে। নেদারল্যান্ডস ৫০ ওভারে ২২৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
অধিনায়কোচিত দৃঢ়তায় হাফ-সেঞ্চুরি করেন স্কট এডওয়ার্ডস। তিনি ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৮ বলে অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৯ বলে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৬৮ রান করে মাঠ ছাড়েন স্কট। ৪১ বলে ৪১ রান করেন ওয়েসলি বারেসি। তিনি ৮টি বাউন্ডারির মারেন।
এছাড়া সাইব্র্যান্ড ৩৫, লোগান ভ্যান বিক ২৩, বাস ডি'লিড ১৭ ও কলিন অ্যাকারম্যান ১৫ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি ম্যাক্স ও'দাউদ ও পল ভ্যান মিকেরেন। ৩ রান করে মাঠ ছাড়েন বিক্রমজিৎ সিং। শারিজ আহমেদ ৬ ও আরিয়ান দত্ত ৯ রানের যোগদান রাখেন।
বাংলাদেশের হয়ে ৩৬ রানে ২টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪০ রানে ২টি উইকেট নেন মেহেদি হাসান। ৪৩ রানে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন তাসকিন আহমেদ। ৫১ রানে ২টি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ৩৭ রানে ১টি উইকেট নেন শাকিব আল হাসান। উইকেট পাননি মেহেদি হাসান মিরাজ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৪২.২ ওভারে মাত্র ১৪২ রান অল-আউট হয়ে যায়। ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়েন শাকিবরা। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৫ রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৪০ বলের ইনিংসে তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
মাহমুদুল্লাহ ও মুস্তাফিজুর রহমান উভয়েই ২০ রানের যোগদান রাখেন। ১৭ রান করেন মেহেদি হাসান। ১৫ রান করেন তানজিদ হাসান। ১১ রান করেন তাসকিন আহমেদ। শাকিব আল হাসান ৫ রান করে আউট হন। লিটন দাস ৩, নাজমুল হোসেন শান্ত ৯ ও মুশফিকুর রহিম ১ রান করে মাঠ ছাড়েন।
পল ভ্যান মিকেরেন ২৩ রানে ৪টি উইকেট দখল করেন। ২৫ রানে ২টি উইকেট নেন বাস ডি'লিড। ১টি করে উইকেট নেন আরিয়ান দত্ত, লোগান ভ্যান বিক ও কলিন অ্যাকারম্যান। ম্যাচের সেরা হন মিকেরেন।
নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পরে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠা কার্যত অসম্ভব দেখাচ্ছে। কেননা তারা পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের শেষ ৩ ম্যাচ জিতলেও ৮ পয়েন্টের বেশি সংগ্রহ করতে পারবে না। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত ১০ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছে। ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। সুতরাং, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ১টি করে ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। বাংলাদেশ যদি আর একটি ম্যাচ হারে, তবে এমনিতেই তারা বাকিদের থেকে বিস্তর পিছিয়ে পড়বে।