Pakistan cricketers order Kolkata biriyani- ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগের দিন রাতে কলকাতার স্পেশাল বিরিয়ানি খেলেন খেলতে পাকিস্তান দলের ক্রিকেটাররা। কিছুদিন আগেই পাকিস্তান দলের ক্রিকেটারদের খাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ওয়াসিম আক্রম। বাবর আজমদের ফিটনেস নিয়ে কথা বলার সময়ে আক্রম বলেছিলেন, দেখে মনে হচ্ছে বাবররা আট-আট কিলো মাংস খেয়ে মাঠে নামছে। এর আগে শোনা গিয়েছিল আমদাবাদ হোক বা ভারতের বিভিন্ন শহর, যেখানেই পাকিস্তান দল গিয়েছে সেখানেই বিরিয়ানি খুঁজে ছিল বাবর আজমরা। কলকাতাতে এসেও সেটা দেখা গেল। মাঠে নামার আগের দিন ডিনারে কলকাতার জনপ্রিয় হোটেল থেকে বিরিয়ানি সহ আরও একাধিক খাবারের অর্ডার দিয়েছিল পাকিস্তান দল।
আজই ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ম্যাচ। দুই দলের কাছেই এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কাগজে-কলমে এখনও সেমিফাইনালের আশা টিকে রয়েছে বাংলাদেশের। যদিও দল আশা ছেড়ে দিয়েছে, এখন তাদের লক্ষ্য সম্মানরক্ষার সঙ্গে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে নেওয়া। অন্যদিকে পাকিস্তান দল এখনও সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে চাইবে। সেজন্য বাকি তিনটি ম্যাচ জিততে হবে অনেক বড় ব্যবধানে। এত বড় ম্যাচে নামার আগে কলকাতার বিরিয়ানি খেয়ে নিজেদের প্রস্তুতি সারল পাকিস্তান দল।
ম্যাচের আগের দিন রাতে হোটেলের ডায়েট খাবার বাদ দিয়ে কলকাতার বিখ্যাত জমজম রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করল টিম পাকিস্তান। হোটেলের ডাইরেক্টর সাদমান ফায়েজ এই খবর জানিয়েছেন। হোটেলের ডিনার না খেয়ে রবিবার রাতে অ্যাপের মাধ্যমে জমজমের বিখ্যাত বিরিয়ানি, চাপ ও কাবাব অর্ডার করেছিলেন বাবর আজমরা। ফায়েজ জানিয়েছেন, ‘অনলাইন ফুড ডেলেভারি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অর্ডার এসেছিল। তাঁরা তিনটি ডিশ অর্ডার করেছিলেন- বিরিয়ানি, কাবাব ও চাপ। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার পর অর্ডার করেছিলেন তাঁরা।’
অবশ্য জমজম রেস্তোরাঁর কারও কোনও ধারণাই ছিল না, কারা এই খাবারের অর্ডার দিয়েছেন, ‘প্রথমে তো জানতাম না পাকিস্তান ক্রিকেট দল থেকে অর্ডার এসেছে। পরে জানতে পেরেছি। আশা করি আমাদের খাবার ভালো লেগেছে তাঁদের। বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষের উচিত আমাদের খাবারের স্বাদ নেওয়া। কলকাতার বিরিয়ানির নিজস্বতা আছে এবং বিশ্বের সব প্রান্তেই এটা খুব বিখ্যাত।’
এদিকে বাবরদের এমন খাওয়াদাওয়া হয়তো পছন্দ নাও হতে পারে ওয়াসিম আক্রমের। কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের কাছে হারের পর প্রাক্তন অধিনায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। বাবরদের ফিটনেস নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি গত তিন সপ্তাহ ধরে বলছি গত দুই বছরে এই খেলোয়াড়েরা কোনও ফিটনেট টেস্ট দেয়নি। মুখ ফুলে ঢোল হয়ে আছে। আমি যদি আলাদা করে নাম বলি, ওদের মুখ কালো হয়ে যাবে। দেখে মনে হচ্ছে প্রতিদিন একেকজন ৮ কেজি করে নিহারি (খাসি) খাচ্ছেন।’