শুভব্রত মুখার্জি- বুধবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে চলতি ওডিআই বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। হাই স্কোরিং এই ম্যাচে ভারতীয় দল ৭০ রানে জয় পেয়ে নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার টিকিট। ম্যাচে দুই দল ৩০০'র উপর রান করেছিল।ম্যাচ জিতে চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত ১০টি ম্যাচ খেলে ১০টিতেই জেতার নজির গড়েছে। সেমিফাইনালে ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার এবং শুভমন গিল। শ্রেয়স চলতি বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে শতরান করেছেন। যদিও বিশ্বকাপের প্রথম দিকে শ্রেয়স আইয়ার সেইভাবে রান করতে পারেননি। সেই কারণে তাঁকে নানা সমালোচনাও শুনতে হয়েছিল। বেশ কয়েকবার শর্ট পিচ বলে শ্রেয়স আইয়ার আউট হয়ে যাওয়ার ফলে অনেকেই বলেছিলেন শর্ট বলে সমস্যা রয়েছে তাঁর। আর এই কথাগুলো যে তাঁকে অত্যন্ত রাগিয়ে দিত সে কথা স্পষ্ট করেছেন শ্রেয়স আইয়ার।
সেমিফাইনাল ম্যাচ শেষে শ্রেয়স আইয়ার জানিয়েছেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর প্রথম দিকে আমি খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারিনি। ১-২ টো ম্যাচে খুব খারাপ পারফরম্যান্স হয়েছে। ব্যাটে রান পাইনি। এরপর আমার শুরুটা ভালো হচ্ছিল।তবে সেখান থেকে বড় রান আমি করতে পারিনি। তবে আমার পরিসংখ্যান যদি দেখা হয় তাহলে দেখবেন আমি আফগানিস্তান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ছিলাম। এরপর দুটো খারাপ ইনিংস খেলি আমি। এরপর নানা কথা শুরু হয়। অনেকেই বলতে শুরু করে দেয় যে আমার নানা সমস্যা রয়েছে। এই সব কথাবার্তা শুনে আমার খুব রাগ হত। আমি তা একেবারেই প্রকাশ করতাম না। তবে আমি জানতাম আমার সময় আসবেই। আর তখন আমি নিজেকে প্রমাণ করে ছাড়ব।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আমার মতে সময় এখন এসেছে। আর সঠিক সময়ে আমি সঠিকভাবে পারফরম্যান্স করতে পেরেছি। সেমিফাইনালে দলের হয়ে শতরান করতে পারাটা সবসময়ে তৃপ্তিদায়ক। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি।’ প্রসঙ্গত গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেন শ্রেয়স। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে করেন ৮২ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে করেন ৭৭ রান। তবে অল্পের জন্য ভালো খেলেও শতরান হাতছাড়া করেন তিনি। ভারতের শেষ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সেই আক্ষেপ মিটিয়ে বেঙ্গালুরুতে করেন শতরান। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে মাত্র ৭০ বলে ১০৫ রান করেছেন শ্রেয়স আইয়ার।