বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগেই সব ভেন্যুগুলি পরিদর্শন করেন আইসিসির প্রধান পিচ কিউরেটর অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। সব ভেন্যু দেখার পর তিনি আইসিসিকে একটি রিপোর্ট জমা দেন। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, এইচপিসিএ অর্থাৎ ধরমশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড একেবারেই গড়পড়তার। ঘাসে ফাঙ্গাসও ধরেছে। ফিল্ডারদের চোট আঘাতের সম্ভাবনা থাকবে। আইসিসির এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে নড়চড়ে বসে বিসিসিআই এবং হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা। কিন্তু কোথায় কী? বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে ধরমশালার আউটফিল্ড নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন।
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান মুজীব-উর-রহমান। দেখা যায় আউটফিল্ডের মাটি পর্যন্ত উঠে গিয়েছে। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে আফগান কোচ জোনাথন ট্রট জানান, 'মুজীবের ভাগ্য ভালো বড় কোনও চোট লাগেনি।' আফগান কোচের এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় ক্রিকেট মহলে। ফের আসরে নামতে হয় আইসিসিকেও। আউটফিল্ডের মান দেখে তারা জানায় গড় পড়তার। তবে মঙ্গলবার ইংল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের জন্য ভালো।
রবিবার ফের একবার ধরমশালার আউটফিল্ড পরীক্ষা করেন আইসিসির প্রধান পিচ কিউরেটর অ্যাটকিনসন। আইসিসিকে তিনি রিপোর্টও জমা দেন। তারপরই ধরমশালার আউট ফিল্ড নিয়ে আইসিসির মুখপাত্র জানান, 'পিচ এবং আউট ফিল্ডের অবস্থা মূল্যায়ন করার প্রক্রিয়াটি আইসিসি পিচ এবং আউটফিল্ড মনিটরিং প্রক্রিয়ার অধীনে ম্যাচ কর্মকর্তাদের উপর নির্ভর করে। আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচের পরে ধরমশালার আউটফিল্ডকে 'গড়' হিসাবে রেট করা হয়েছিল। পাশাপাশি, আইসিসির পিচ পরামর্শদাতা আউটফিল্ডের দিকে নজর রেখেছেন। ইংল্যান্ড বনাম আফগানিস্তানে ম্যাচ রেফারি জভাগাল শ্রীনাথ। তাঁকে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
ধরমশালায় নামার আগে আউটফিল্ড সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বেয়ারস্টো জানান, 'গত কয়েকদিন ধরেই দেখছি এখানকার আউট ফিল্ড নিয়ে কথা হচ্ছে। এখানে প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে হাঁটুর চোট। যখন বল বাউন্ডারির দিকে যাচ্ছে। একজন ফিল্ডার চেষ্টা করবে সেটাকে ধরার। তখন অন্য কথা মাথায় আসবে না। এটা একেবারেই সাধারণ ব্যাপার। তবে তোমাকে বুঝে শুনেই মাঠে ফিল্ডিং করতে দাঁড়াতে হবে।' আগামী মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ফের সমস্যার মুখে পড়তে হয় কিনা ধরমশালাকে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।