এশিয়া কাপের আসরে ব্যাট হাতে চমকে দেওয়া পারফর্ম্যান্স উপহার দেন কুশল মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে তুলতে মুখ্য ভূমিকা নেন তিনিই। বিশ্বকাপ ২০২৩-এর প্রথম ২ ম্যাচেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন তিনি। একটি অর্ধশতরান ও একটি শতরান আসে মেন্ডিসের ব্যাট থেকে।
তবে ছবিটা বদলাতে শুরু করে বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচ থেকেই। মেন্ডিস দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম দুই ম্যাচে দাসুন শানাকার নেতৃত্বে মাঠে নামেন। তবে চোট পেয়ে শানাকা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে নেতৃত্বের দায়ভার চাপে মেন্ডিসের কাঁধে।
ক্যাপ্টেন্সির বোঝা যে কুশল মেন্ডিস যথাযথ বইতে ব্যর্থ, সেটা বোঝা যায় তাঁর পরবর্তী ৭ ম্যাচের ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সে চোখ রাখলেই। নেতৃত্বের চাপ কুশলের ব্যাটিংয়ে বড়সড় প্রভাব ফেলে। তিনি খোলা মনে ব্যাট করতে না পারায় বড় রানের মুখ দেখেননি। মেন্ডিস ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় ফল ভুগতে হয় শ্রীলঙ্কাকেও। কেননা শ্রীলঙ্কার দলগত পারফর্ম্যান্স অনেকটাই নির্ভর করছিল মেন্ডিসের উপরে।
শানাকার নেতৃত্বে বিশ্বকাপের প্রথম ২ ম্যাচে কুশল মেন্ডিসের ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স:-
১. দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৪টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৭৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন কুশল মেন্ডিস।
২. হায়দরাবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৭৭ বলে ১২২ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন মেন্ডিস।
শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্বে দিতে নেমে বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচ থেকে কুশল মেন্ডিসের ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স:-
১. লখনউয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে ১৩ বলে ৯ রান করে আউট হন কুশল মেন্ডিস। এই ম্যাচে তিনি কোনও বাউন্ডারি মারেননি।
২. লখনউয়ে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচে ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ বলে ১১ রান করে আউট হন মেন্ডিস।
৩. বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম ম্যাচে ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন কুশল।
৪. পুণেতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ ম্যাচে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস।
৫. মুম্বইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সপ্তম ম্যাচে ১০ বলে ১ রান করে আউট হন কুশল মেন্ডিস।
৬. দিল্লিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অষ্টম ম্যাচে ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ বলে ১৯ রান করেন মেন্ডিস।
৭. বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭ বলে ৬ রান করে আউট হন কুশল।
সুতরাং, চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ২ ম্যাচে ১৯৮ রান করেন কুশল মেন্ডিস। পরে নেতৃত্বের দায়ভার কাঁধে নিয়ে ৭টি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে মেন্ডিসের সার্বিক সংগ্রহ মোটে ৯৬ রান। বোঝাই যাচ্ছে তফাৎটা।