মার্শ রান পেতেই চাপ বেড়েছে টিম অস্ট্রেলিয়ার! 'সুখের' মাথাব্যথার কথা জানালেন কামিন্স

দলে জায়গা পেয়েই এক অনবদ্য ইনিংস খেলে রেকর্ড গড়া জয় নিশ্চিত করেন মার্শ। ফলে সেমিফাইনালের আগে যে অজি দলের জন্য 'সুখের' মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটাই জানালেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। অজি টিম ম্যানেজমেন্টও সেটাকে স্পষ্ট করে দিয়েছে।

মিচেল মার্শ ও স্টিভ স্মিথ (ছবি-AFP)

শুভব্রত মুখার্জি- পাঁচ বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দল অস্ট্রেলিয়া। ফের একবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করেছে তারা। শনিবার চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে তাদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল অজিরা। পুনের এই ম‌্যাচের আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার ফলে এই ম্যাচের গুরুত্ব এমনিতেই কম ছিল। তবে গত ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কার্যত এক পায়ে দাঁড়িয়েই অনবদ্য এক দ্বিশতরানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করার পরে চোটের কারণে বাংলাদেশ ম্যাচে খেলতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।আবার তার পরিবর্তে দলে জায়গা পান মিচেল মার্শ। দলে জায়গা পেয়েই এক অনবদ্য ইনিংস খেলে রেকর্ড গড়া জয় নিশ্চিত করেন মার্শ। ফলে সেমিফাইনালের আগে যে অজি দলের জন্য 'সুখের' মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটাই জানালেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। অজি টিম ম্যানেজমেন্টও সেটাকে স্পষ্ট করে দিয়েছে।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আট উইকেটে ম্যাচ জিতেছে অজিরা। ম্যাচ জয়ের পরে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স জানিয়েছেন, ‘আমরা উইকেট দেখে আগেই ভেবেছিলাম এটা বেশ ভালো পিচ। তাই ইনিংসের বিরতিতে আমরা ধরে নিয়েছিলাম এই রান তাড়া করে আমরা জিততে পারি। আমাদের স্কোয়াডের ১৫ জন ক্রিকেটার ইতিমধ্যেই চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে খেলে ফেলেছে। আমরা এবার কলকাতায় যাব। ফের বিশ্লেষণ করব সবকিছু। ফের পুনঃ মূল্যায়ন করব। হয়তো আমাদের জন্য দল নির্বাচন নিয়ে কিছু সুখের মাথাব্যথা অপেক্ষা করে রয়েছে।’

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘ও (মিচেল মার্শ) আজকে দারুন ব্যাট করেছে। যে টেম্পোতে আজকে ও ব্যাট করেছে, যেভাবে তা ধরে রেখেছে তা অনবদ্য। যেভাবে ও ইনিংসটা শেষ করেছে তা এককথায় অনবদ্য। যে কোন বিপক্ষের কাছে ও ত্রাস। পরপর সাত ম্যাচে জেতা বুঝিয়ে দেয় যে আমরা দল হিসেবে কতটা ভালো। আমি মনে করি ৩০০ রান তাড়া করাটা সবসময়ে স্পেশাল। এই মুহূর্তে আমাদের সবকিছু একসঙ্গে ক্লিক করছে।’ ম্যাচে ১৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মিচেল মার্শ। তিনি তাঁর ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ১৭ টি চার এবং ৯ টি ছয়। ৩০৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪৪.৪ ওভারেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অজিরা।