কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বিধ্বস্ত করে চলতি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড়ে বাড়তি অক্সিজেন পেল নিউজিল্যান্ড। তারা পাকিস্তানের থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে রইল বলা যায়।
বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড। সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে নিউজিল্যান্ডকে এই ম্যাচ জিততেই হতো। শেষমেশ বড় ব্যবধানে সিংহলিদের হারিয়ে প্রয়োজনীয় ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করার পাশাপাশি নেট রান-রেটও বিস্তর বাড়িয়ে নেন কেন উইলিয়ামসনরা।
চিন্নাস্বামীতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তারা ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। শুরু থেকে একপ্রান্ত দিয়ে উইকেট পড়তে থাকলেও অপর প্রান্ত দিয়ে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন কুশল পেরেরা। তিনি ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২২ বলে অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকে যান। চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত এটিই সব থেকে কম বলে করা হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড। শেষমেশ ২৮ বলে ৫১ রান করে মাঠ ছাড়েন পেরেরা।
এছাড়া মাহিশ থিকশানা অপরাজিত ৩৮, দিলশান মদুশঙ্কা ১৯, ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা ১৯ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ১৬ রানের যোগদান রাখেন। পাথুম নিশঙ্কা ২, কুশল মেন্ডিস ৬, সাদিরা সমরাবিক্রমে ১, চরিথ আসালঙ্কা ৮, চামিকা করুণারত্নে ৬ ও দুষ্মন্ত চামিরা ১ রান করে আউট হন। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ৩৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট দখল করেন লকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র ও মিচেল স্যান্টনার। ১টি উইকেট নেন টিম সাউদি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ২৩.২ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৬০ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের দাবি জোরালো করে কিউয়িরা।
ডেভন কনওয়ে ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪২ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। রাচিন রবীন্দ্র করেন ৩৪ বলে ৪২ রান। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন কেন উইলিয়ামসন। ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৪৩ রান করেন ডারিল মিচেল। গ্লেন ফিলিপস ৩টি বাউন্ডারির সাহায্য়ে ১০ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ২৯ রানে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন থিকসানা ও চামিরা। ম্যাচের সেরা হন ট্রেন্ট বোল্ট।
এই জয়ের সুবাদে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগের অভিযান শেষ করে নিউজিল্যান্ড। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে যেতে হলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের শেষ ম্যাচ অন্ততপক্ষে ২৮৭ রানের অভাবনীয় ব্যবধানে জিততে হবে।