সেমিফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত। তা সত্ত্বেও না আঁচালে বিশ্বাস নেই গোছের মনোভাব পোষণ করছেন কেন উইলিয়ামসন। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা বলেই এখনই আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে লড়াই থেকে ছিটকে দিতে রাজি নন নিউজিল্যান্ড দলনায়ক।
মুখে স্বীকার না করলেও উইলিয়ামসন ভালো মতোই বুঝে গিয়েছেন যে, ২০১৯ সালের মতো ফের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হতে পারে তাঁদের। সেবার পরিবেশ-পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। এবার নিজেদের ডেরায় যে রকম ডাকাবুকো ক্রিকেট উপহার দিচ্ছে টিম ইন্ডিয়া, তাতে শেষ চারের লড়াইয়ে রোহিতদের চ্যালেঞ্জ সামলানো সহজ হবে না মোটেও। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচ জিতে উঠে সেটা স্বীকারও করে নেন কিউয়ি দলনায়ক।
উইলিয়ামসন দাবি করেন যে, তাঁরা সেমিফাইনালে ওঠার মতো যথেষ্ট ভাগ্যবান হলে শেষ চারে আয়োজক ভারতের মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জের হবে। তাঁর কথায়, ‘কয়েকটি দল সমান পয়েন্টে (লিগের অভিযান) শেষ করতে পারে। এটার উপরে আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। আপাতত কয়েকটা দিন বিশ্রাম পাওয়া যাবে। শেষমেশ কী হবে সে বিষয়ে নিশ্চত নই।’
নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক আরও দাবি করেন, ‘যদি ভাগ্য ভালো থাকে, তবে সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ পাওয়া যাবে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা সবসময় স্পেশাল। তবে আয়োজক দেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামা চ্যালেঞ্জিং।’
উল্লেখ্য, চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগে ইতিমধ্যেই একবার ভারতের কাছে পরাজিত হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ধরমশালার সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ২৭৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ডারিল মিচেল ১৩০ ও রাচিন রবীন্দ্র ৭৫ রান করেন। ৫টি উইকেট নেন মহম্মদ শামি। পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত ৬ উইকেটে ২৭৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৯৫ রান করেন বিরাট কোহলি।
নিউজিল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ফলাফল:-
চিন্নাস্বামীতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তারা ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৫১ রান করেন কুশল পেরেরা। ট্রেন্ট বোল্ট ৩৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ২৩.২ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ডেভন কনওয়ে ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪২ বলে ৪৫ রান করেন। রাচিন রবীন্দ্র করেন ৩৪ বলে ৪২ রান। শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ২৯ রানে ২টি উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন ট্রেন্ট বোল্ট।