কার্যত শুরু থেকেই পিচ বিতর্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে চলতি ওয়ান ডে বিশ্বকাপকে। অভিযোগের তির মূলত বিসিসিআই ও ভারতীয় দলের দিকে। রোহিতদের পছন্দমতো পিচে ভারতের বিরুদ্ধে অন্যন্য দলকে খেলতে হচ্ছে বলে জোর চর্চা ক্রিকেটবিশ্বে।
বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের জন্য আগে থেকে যে পিচ নির্ধারিত ছিল, সব ম্যাচে পূর্বনির্ধারিত সেই পিচ ব্যবহার করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। শেষ মুহূর্তে অন্য পিচে খেলা হয়েছে কিছু ম্যাচ। নিন্দুকরা ভারতের ম্যাচগুলিকেই শুধু টার্গেট করলেও এমনটা নয় যে, কেবলমাত্র ভারতের ম্যাচে পিচ বদলানো হয়েছে। বরং অন্য দলের খেলাতেও দেখা গিয়েছে এমন ছবি।
তবে সব থেকে বেশি চর্চা হয় ওয়াংখেড়ের ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচের পিচ নিয়ে। আগে ব্যবহার করা হয়েছে এমন পিচে সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলা হওয়ায় প্রশ্ন তোলেন ভন-লেম্যানের মতো প্রাক্তন তারকারাও। পাকিস্তানের প্রাক্তনদের অবশ্য ভারত বল বদলাচ্ছে, পিচ বদলাচ্ছে বলে কান্নাকাটি করতে দেখা গিয়েছে বিশ্বকাপের শুরু থেকেই।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল একেবারে নতুন পিচে খেলা হওয়া উচিত বলে দাবি তোলেন অনেকেই। যদিও আইসিসির তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে, ফ্রেশ পিচে সেমিফাইনাল-ফাইনাল খেলাতে হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই। এমনকি অতীতেও পুরনো পিচে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল আয়োজিত হওয়ার নজির রয়েছে। আসল কথা হল, সেরা পিচে খেলা। কোন পিচ বিশ্বকাপের নক-আউট ম্যাচের জন্য উপযুক্ত, সেটা স্থির করার দায়িত্ব দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট সংস্থার উপরেই।
সুতরাং, মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা ওয়াংখেড়ের যে পিচ ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালের জন্য সেরা মনে করেছে, তাতে ম্যাচ আয়োজন করে কোনও ভুল করেনি বলে মতামত জানিয়েছে আইসিসি। এবার বিশ্বকাপ ২০২৩-র দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও দেখা গেল একই ছবি।
আরও পড়ুন:- IND vs NZ: প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে উইকেট নেওয়ার হাফ-সেঞ্চুরি শামির
ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল ম্যাচ যে পিচে আয়োজন করা হয়, সেটি নতুন পিচ নয়। টসের আগে পিচ রিপোর্টে হেডেন ও পমি নিশ্চিত করেন বিষয়টি। ইডেনের যে পিচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচে মাঠে নামে ইংল্যান্ড, সেই পিচটিকেই বেছে নেওয়া হয় সেমিফাইনালের জন্য। অর্থাৎ, ইডেনের একই পিচে বিশ্বকাপের পরপর ২টি ম্যাচ আয়োজন করা হয়।
এখন দেখার যে, ভারতের পছন্দ অনুযায়ী পুরনো পিচে প্রথম সেমিফাইনাল খেলা হয়েছে বলে যাঁরা গলা চড়িয়েছিলেন, দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পিচ নিয়ে তাঁরা কী বলেন। উল্লেখ্য, ইডেনের এই পিচে লিগের শেষ ম্যাচে বাবর আজমদের নাস্তানাবুদ করেন জোস বাটলাররা। ইংল্যান্ডের ৯ উইকেটে ৩৩৭ রানের জবাবে পাকিস্তান অল-আউট হয়ে যায় ২৪৪ রানে।