মাত্র ৬টি ম্যাচে বল করেই চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি ২৩টি উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ শামি। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার। আরও একবার ইনিংসে ৪ উইকেট দখল করেছেন তিনি।
বুধবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৯.৫ ওভার বল করে ৫৭ রানের বিনিময়ে শামি একাই তুলে নেন ৭টি উইকেট। এটি চলতি বিশ্বকাপের সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স তো বটেই, এমনকি বিশ্বকাপের সার্বিক ইতিহাসে কোনও নক-আউট ম্যাচে ৭ উইকেট নিতে পারেননি আর কেউ।
এমন চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্সের রহস্য কী, তা নিজেই খোলসা করেন শামি। ওয়াংখেড়েতে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার হাতে নিয়ে শামি বলেন, ‘সবাই ভেরিয়েশনের কথা বলে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে বাউন্সার, ইয়র্কার, স্লোয়ার প্রভৃতি বৈচিত্র্যের দরকার বলে মনে করে অনেকে। তবে আমি এখনও বিশ্বস করি যে, সঠিক জায়গায় বল রাখাটাই উইকেট নেওয়ার মূল মন্ত্র। বিশেষ করে নতুন বলে উপরের দিকে বল রেখে উইকেট তোলার দিকে আমার নজর থাকে। সেভাবেই সাফল্য এসেছে।’
আরও পড়ুন:- IND vs NZ: প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে উইকেট নেওয়ার হাফ-সেঞ্চুরি শামির
বুমরাহর বলে উইলিয়ামসনের ক্যাচ মিস করে দলকে একসময় চাপে ফেলে দিয়েছিলেন শামি। যদিও শেষমেশ তিনিই বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে ভারতকে ফাইনালে তোলেন। উইলিয়ামসনের উইকেটিও তিনিই নেন। ক্যাচ মিস করা প্রসঙ্গে শামি বলেন, ‘ওই সময়ে উইলিয়ামসনের ক্যাচ মিস করাটা উচিত হয়নি। খুব খারাপ লাগছিল। তবে স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান ছিল বলেই নিজেকে বুঝিয়েছিলাম যে, চলো চেষ্টা করা যাক ওর উইকেট তোলার। শেষমেশ গতি কমিয়েই উইলিয়ামসনের উইকেট আসে।’
আরও পড়ুন:- বিশ্বকাপের নক-আউটে সর্বকালের সেরা বোলিং শামির, ভাঙলেন গ্যারির ৪৮ বছরের পুরনো রেকর্ড
ওয়াংখেড়েতে শিশির সমস্যা দেখা দেয়নি। তাই স্লো বল কার্যকরী হয়েছে বলেও মত প্রকাশ করেন শামি। যদিও পিচে যথাযথ ঘাস ছাঁটাই করাকেও এক্ষেত্রে কৃতিত্ব দেন শামি। তাঁর কথায়, ‘মনে হয়েছিল সন্ধ্যার দিকে শিশির দেখা যেতে পারে। তবে ঠিকঠাক ঘাস ছাঁটা হয়েছে বলেই তেমন একটা সমস্যা হয়নি। এমনিতে পিচে খুব বেশি ফারাক কিছু চোখে পড়েনি। ওরাও রান তুলছিল সাবলীলভাবে। বড় শট খেলতে অসুবিধা হয়নি। তবে শিশির পড়লে বল স্কিড করত। সেক্ষেত্রে স্লো বল কার্যকরী হতো না।’
বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে সুযোগ না পাওয়া প্রসঙ্গে অবশ্য এখনও তেমন একটা আক্ষেপ শোনা যায়নি শামির গলায়। শামি স্পষ্ট জানান যে, তিনি শুধু নিজের সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। একবার সুযোগ পেতেই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।