শনিবার বিশ্বকাপ ২০২৩-এর হাই ভোল্টোজ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ডের। ঠিক এক সপ্তাহ পরে প্যাট কামিন্সরা মাঠে নামবেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়া জোড়া হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলেও পরপর ৩টি ম্যাচ জিতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করেছে। তবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড রয়েছে রীতিমতো বেকায়দায়।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ৫ ম্যাচের মধ্যে পরাজিত হয়েছে ৪টি ম্যাচে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইংল্যান্ডের এমন ভয়ানক বিপর্যয়ে লাভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। অজিদের সেমিফাইনালে ওঠার পথ কার্যত পরিষ্কার দেখাচ্ছে ইংল্যান্ড দৌড় থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাওয়ায়।
অর্থাৎ, একথা বলা মোটেও ভুল হবে না যে, ইংল্যান্ডের সর্বনাশে পৌষমাস অস্ট্রেলিয়ার। নিজেদের পথ কাঁটামুক্ত হওয়ায় ইংল্যান্ডের ভরাডুবিতে খুশি হওয়ার কথা অজি দলনায়ক কামিন্সের। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে উভয় সংকটে পড়েন কামিন্স।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে কামিন্সের কাছে ইংল্যান্ডের ক্রমাগত হার নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। কামিন্স মুখে দুঃখ প্রকাশ করলেও তাঁর চোখ-মুখ অন্য কথা বলছিল। আসলে অজি দলনায়কের একগাল হাসি দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে, তিনি ইংল্যান্ডের বিপর্যয়ে খুশি। তবে মুখে আমতা আমতা করে কামিন্স বলেন যে, বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এভাবে হারতে দেখে খারাপ লাগছে তাঁর।
সঙ্গত কারণেই কামিন্সের এমন জবাবের সঙ্গে তাঁর শরীরী ভাষা মোটেও খাপ খাচ্ছিল না। তিনি যে খুশি, সেটাই বোঝা যাচ্ছিল স্পষ্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় কামিন্সের এমন প্রতিক্রিয়া দেখে বিদ্রুপও শুরু হয়ে যায়। মিম ছড়িয়ে পড়তে থাকে বিস্তর।
আরও পড়ুন:- IPL 2024-এও ফিরছেন ধোনি, CSK সমর্থকদের উৎফুল্ল করে ইঙ্গিত দিলেন নিজেই- ভিডিয়ো
উল্লেখ্য, আমদাবাদে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে হারতে হয় ইংল্যান্ডকে। পরে ধরমশালায় বাংলাদেশকে ১৩৭ রানে পরাজিত করেন জোস বাটলাররা। ঠিক তার পরেই টানা তিনটি ম্যাচে হারের মুখ দেখে ইংল্যান্ড। দিল্লিতে আফগানিস্তানের কাছে ৬৯ রানে হেরে যায় তারা। মুম্বইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২২৯ রানে বিধ্বস্ত হয় ইংল্যান্ড। শেষে বেঙ্গালুরুতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৮ উইকেটে হার মানে ব্রিটিশরা।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া চেন্নাইয়ে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হার দিয়ে বিশ্বকাপ ২০২৩ অভিযান শুরু করে। পরে লখনউয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৩৪ রানে পরাজিত হয় তারা। লখনউয়েই অস্ট্রেলিয়া নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয় ৫ উইকেটের ব্যবধানে। বেঙ্গালুরুতে অজিরা ৬২ রানে পরাজিত করে পাকিস্তানকে। শেষে দিল্লিতে নেদারল্যান্ডসকে ৩০৯ রানের রেকর্ড ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেন প্যাট কামিন্সরা।