শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ওডিআই বিশ্বকাপের সবথেকে বিতর্কিত ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে সোমবার। এদিন অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আগেই ছিটকে গিয়েছিল চলতি বিশ্বকাপ থেকে। অঙ্কের বিচারে এই ম্যাচ জিতলে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা থাকত লঙ্কানদের। আর সেই ম্যাচেই ঘটে গিয়েছে চলতি বিশ্বকাপ তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে বিতর্কিততম ঘটনা। প্রথম ব্যাটার হিসেবে ‘টাইম আউট’ হয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসানের আপিলে সাড়া দিয়ে সম্মতি দিয়েছেন মাঠে উপস্থিত দুই আম্পায়ার। তবে এরপরেই জানা গিয়েছে যে আপিল নাকি শাকিব শুরুই করেননি! তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কে শুরু করল এই আপিল?
শাকিব নিজেই জানিয়েছেন এই আপিল নাকি তিনি শুরু করেননি। এই আপিল শুরু করেছিলেন তাঁর দলের আরেক তরুণ তুর্কি! তবে শাকিব আল হাসান সেই ক্রিকেটারের নাম খোলসা করেননি। তবে ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে জানা গিয়েছে সেই ক্রিকেটারের নাম। পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে ক্রিকেটের অন্যতম বিতর্কিত ঘটনার পিছনে থাকা খলনায়কের নাম। তিনি বাংলাদেশের বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার নাজমুল হাসান শান্ত। যদিও ঘটনার প্রায় পুরো দায় এসে পড়েছে বাংলাদেশ অধিনায়কের ঘাড়ে।
সকলেই ঘটনার পরেই স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের দোহাই তুলে বিশুদ্ধবাদীরা কার্যত মুন্ডুপাত করেছেন শাকিবের। পাশাপাশি শাকিবও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ম্যাচটা তার কাছে যুদ্ধের মতন। ফলে এখানে বিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমি তিনি ছাড়তে রাজি ছিলেন না। আর বাস্তবে করেছেন সেটাই। শাকিব জানিয়েছেন, ‘দলের একজন ফিল্ডার আমার কাছে আসে। এসে আমাকে বলে তুমি যদি আপিল কর তাহলে আইন বলছে ও (অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ) আউট হবে। কারণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ও গার্ড নেয়নি। আর তার পরেই আমি আপিল করার সিদ্ধান্ত নিই। আমি আম্পায়ারদের কাছে আপিল করি। আম্পায়াররা আমাকে প্রশ্ন করে তুমি কী ম্যাথিউজকে ফের ব্যাট করতে ডেকে পাঠাবে। আমি যদি আউট দিই। তুমি তারপর ডেকে পাঠালে ব্যাপারটা খারাপ দেখাবে। আমি নিশ্চিত করি যে আমি ডেকে ফেরত আনব না ম্যাথিউজকে।’