শুভব্রত মুখার্জি: চলতি ওডিআই বিশ্বকাপের কালো ঘোড়া নিঃসন্দেহে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ভারতের মাটিতে তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা বিশ্বকাপ অভিযানের সাক্ষী থাকছেন ভক্তরা। ইতিমধ্যেই তিন তিনটি ম্যাচে জয় পেয়েছেন রশিদ খানরা। আগেই হারিয়ে দিয়েছিলেন গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান দলকে। সোমবার তাদের রুপকথার কাহিনীর পরবর্তী শিকার হল শ্রীলঙ্কা দল। সেই শ্রীলঙ্কা দল, যারা নিজেরা রুপকথার ইতিহাস লিখে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তারাও আফগানিস্তানের কাছে হেরে গেল সোমবার পুনেতে। আফগানিস্তানের এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন তাদের পেসার ফজলহক ফারুকি। ম্যাচের সেরা হয়ে তিনি জানালেন, টু্র্নামেন্টে তৃতীয় জয়ে খুশি, দলের জয়ে যোগদান করতে পেরে আরও খুশি।
প্রসঙ্গত গত ম্যাচে আফগানিস্তানের দলে ছিলেন না ফারুকি। এই ম্যাচে দলে ফিরে আসেন তিনি। ফিরে এসেই বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন। দলকে জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন তিনি। ফলে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন ফারুকি। ম্যাচ সেরা হয়ে তিনি বলেছেন, ‘সর্বশক্তিমানকে ধন্যবাদ। টু্র্নামেন্টে তৃতীয় জয়ে খুশি। দলের জয়ে যোগদান করতে পেরে আরও খুশি আমি। নতুন বলকে আমি এদিন সুইং করানোর চেষ্টা করেছি। তবে আজ আমি কোনও সুইং পাইনি। আর সেই কারণে আমি সোজা লাইন এবং লেন্থে বল করাতে মনোযোগ দিই। আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যাতে আমার বলে বাউন্ডারি মারতে না পারে। আর সেই ভাবেই সাফল্য এসেছে। তবে শেষ কয়েক ওভারে আমরা বেশ কিছু রান দিয়ে ফেলি (গত ম্যাচগুলোতে)। এটা মাথায় রেখে নেটে আমরা অনুশীলন করেছি। নিখুঁত লাইন এবং লেন্থে বল করার চেষ্টা করেছি। যত সম্ভব বলে বৈচিত্র্য এনেছি। আর সেটাই ঠিক আজকে ম্যাচেও আমরা করেছি।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তান ক্রিকেটে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ইনজামাম
প্রসঙ্গত, এদিন প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা দল। মাত্র ২৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন পাথুম নিশঙ্কা। এছাড়াও অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ৩৯, সাদিরা সমরাবিক্রমে ৩৬, চরিথ আসালঙ্কা ২২ এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ২৩ রান করলেও, বড় রান কেউ করতে পারেননি ।যার ফল ভুগতে হয়েছে দলকে। ফজলহক ফারুকি এদিন ১০ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে শূন্য রানে ফেরালেও, অসুবিধায় পড়তে হয়নি আফগানদের। মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ২৮ বল বাকি থাকতেই তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যান। আজমাতউল্লাহ ওমরজাই ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন এবং অধিনায়ক হাসমাতউল্লাহ শাহিদি ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এছাড়াও রহমত শাহ ৬২ এবং ইব্রাহিম জাদরান ৩৯ রান করেন।