এবারের বিশ্বকাপে প্রথম থেকেই দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্স করে ভারত। টানা দশ ম্যাচে অপরাজিত থাকেন রোহিত শর্মারা। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পাকা করতেই বিশ্বকাপ জয়ের একটা সম্ভাবনা দেখা দেয়। ২০১১ সালের পর এই প্রথমবার টিম ইন্ডিয়া ফাইনালে ওঠে। সেই সঙ্গে ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের বদলাও নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে যায় বিরাটদের সামনে। কিন্তু কোথায় কী। অজিদের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। গোটা টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এসে ফাইনালে হারের মুখ দেখতে হল রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যদের।
ফের অপেক্ষা চার বছরের। রবিবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ হাতছাড়া করতে হল তাদের। ভারতের বোলিং লাইনআপকে গুড়িয়ে দিলেন ট্র্যাভিস হেড। মাত্র ২৪১ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১২০ বলে ১৩৭ রান করেন তিনি। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৫টি বাউন্ডারি এবং ৪টি বাউন্ডারির সৌজন্যে। ম্যাচের সেরাও হন হেড।
শুধু ফাইনাল ম্যাচেই নয়, সেমিফাইনালেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন হেড। ৪৮ বলে করেন ৬২ রান। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। শুধু ব্যাট হাতে রান করাই নয়, একই সঙ্গে বল হাতেও উইকেট নেন তিনি। ৫ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হেড। আর তাতেই সেমিফাইনালেও ম্যাচের সেরা হন তিনি।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে ম্যাচের সেরা হওয়ার কৃতিত্ব খুব কম ক্রিকেটারেরই রয়েছে। এবার সেই তালিকায় জায়গা করে নিলেন হেড। এর আগে এমন কৃতিত্ব রয়েছে মহিন্দর অমরনাথের। যিনি ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল উভয় ম্যাচেই ম্যাচের সেরা হন তিনি। এছাড়াও শ্রীলঙ্কার অরবিন্দ ডি সিলভা ১৯৯৬ সালে উভয় ম্যাচে সেরার পুরস্কারটি পান। তবে এই তালিকায় প্রথম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার হিসাবে এই কৃতিত্ব গড়েন শেন ওয়ার্ন। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে ম্যাচের সেরা হন তিনি। ১৯৯৯ সালের পর এই রেকর্ডের তালিকায় এতদিন কেউ জায়গা করে নিতে পারেননি। এবার সেই তালিকায় দ্বিতীয় অজি ক্রিকেটার হিসাবে জায়গা করে নিলেন হেড। বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে সেরার হওয়ার কৃতিত্ব খুব কম ক্রিকেটারের রয়েছে। এবার সেই তালিকায় দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হিসাবে নাম লেখালেন তিনি।