England vs Afghanistan-দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের হারের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল আফগানিস্তানের স্পিনারদের। ৮ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ২৮৫ রানের লক্ষ্য অর্জন করতে দেননি এই স্পিনাররা। ইংল্যান্ডকে আটকাতে আফগানিস্তানের স্পিনার মুজিব উর রহমানের বড় অবদান ছিল। তিনি জো রুট এবং হ্যারি ব্রুকের উইকেট তুলে নিয়ে ছিলেন। এরপর ম্যাচে আফগানিস্তানের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছিল। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন মুজিব উর রহমান। ম্যাচ শেষে মুজিবের এক ক্ষুদে ভক্তও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। মাঠের মাঝেই সেই ছোট্ট ভক্ত মুজিবকে জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। মুজিবকে দেখে সেই ছোট্ট সমর্থক কাঁদতে থাকেন। মুজিব সেই ভক্তকে দেখে অবাক হয়ে যান এবং তিনি সেই ভক্তকে জড়িয়ে ধরেন। এই ঘটনার ভিডিয়ো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
আফগানিস্তান যখন ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটিয়ে ছিল, যখন তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে পরাজিত করেছিল, তখন জাতীয় রাজধানীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম আবেগে ভেসে গিয়েছিল। হেভিওয়েট এবং টুর্নামেন্ট ফেভারিট ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহাকাব্যিক জয়ের পরে খেলোয়াড় হোক বা আফগান দলের ভক্তরা সকলেই স্টেডিয়ামে প্রচুর আনন্দ এবং উল্লাসে ভরে ওঠেন। নিছক এই আনন্দের মধ্যে, এক অল্প বয়স্ক অনুরাগীর একটি হৃদয়-উষ্ণ ভিডিয়ো ভাইাল হতে থাকে। আফগানিস্তানের জয়ের পরে সেই ভক্ত আনন্দের অশ্রুতে সকলের মন ছুঁয়ে নিয়েছিলেন। ভক্তকে তারকা স্পিনার মুজিব উর রহমান অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। জয়ের পরে তাঁকে সান্ত্বনা দিতে জড়িয়ে ধরেছিলেন। এরপরে তাকে চটকলেট দেন মুজিব। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়।
তবে ম্যাচ শেষে মুজিব উর রহমান বলেন, ‘বিশ্বকাপে এসে চ্যাম্পিয়নদের হারানো খুবই গর্বের মুহূর্ত। পুরো দলের জন্য এটি একটি বড় অর্জন, আমরা এই দিনটির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। এত বড় দলকে আমরা পরাজিত করেছি। সামগ্রিকভাবে এটি বোলার এবং ব্যাটসম্যানদের একটি আশ্চর্যজনক পারফরম্যান্স ছিল।’
মুজিব আরও বলেন, ‘একজন স্পিনার হিসেবে পাওয়ারপ্লেতে বল করা বেশ কঠিন, আপনার বাইরে মাত্র ২ জন ফিল্ডার থাকে। এটি এমন কিছু যা আমি নেটে করেছিলাম। নতুন বলে বোলিং এবং যথাসম্ভব ধারাবাহিক হওয়ার চেষ্টা করা। এটি এমন কিছু যা আমাকে আরও কার্যকর করেছে। আমি সবসময় স্টাম্প টু স্টাম্প বোলিং করার চেষ্টা করি।’
মুজিব আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এই মাটিতে পরে শিশির আসবে। তাই আমি অধিনায়ককে বলছিলাম পাওয়ারপ্লেতে আমাকে বল করতে দিন। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।’ ইংল্যান্ডের ব্যাটিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবকিছুই ম্যানেজমেন্ট এবং খেলোয়াড়দের নিয়ে। তারা আমাকে নেটে আত্মবিশ্বাস দেয়। তারা সবসময় আমার সাথে নেটে থাকে। ম্যাচে অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। সেই ২০-২৫ রান দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিজয় তাদের জন্য যারা হেরাতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ম্যাচের কথা বললে, একটি অলরাউন্ড আফগানিস্তান দল স্কোর বোর্ডে ২৮৪ রান তুলেছিল। রান তাড়া করতে নমে ইংল্যান্ড দল ৪০.৩ ওভারে ২১৫ রানে গুটিয়ে যায়। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয় নিবন্ধন করে আফগানিস্তান। টুর্নামেন্টে আফগানিস্তানের অন্য জয়টি আট বছর আগে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে এসেছিল।