শুভব্রত মুখার্জি- বিশ্বে ক্রিকেট পাগল দেশ হিসেবে ভারতের খ্যাতি সর্বত্র। সেই দেশেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ ফাইনাল। তার উপর ফাইনালে খেলবে ভারত। ফলে ফাইনাল ম্যাচ শুরু হলে গোটা দেশ যে কার্যত ঘরে বন্ধ হয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য। টিভির পর্দায় চোখ রাখবেন কোটি কোটি ভারতীয়। ভারতীয় সিনিয়র দলের ওপেনার শুভমন গিলের দাদু-দিদাও তার ব্যতিক্রম নন। নাতির খেলা দেখতে, দেশের খেলা দেখতে টিভি ছেড়ে যে কার্যত নড়বেন না সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশিই দাদুর জন্য ম্যাচ চলাকালীন তো ফরমান জারি করে দিয়েছেন শুভমন গিলের দিদা।
শুভমন গিলের দিদার স্পষ্ট বক্তব্য ম্যাচ চলাকালীন চা খেতে ইচ্ছা হলে নিজেকেই চা করে খেতে হবে গিলের দাদুকে। পঞ্জাবের চক খেরে ওলা গ্রাম থেকেই ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পথ চলা শুরু গিলের। এখানেই কংক্রিটের পিচে অনুশীলন করতেন ছোট্ট গিল। এখনও সেই পিচকে সযত্নে আগলে রেখেছেন শুভমনের দাদু-দিদা। দাদু সর্দার দিদার সিং এবং দিদা গুরমাইল কৌর ফাইনালের আগে একটু হলেও নার্ভাস রয়েছেন। নার্ভাস রয়েছেন ফাইনালে দলের কাপ জয়, নাতির পারফরম্যান্স নিয়ে। সে কথাও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন তারা। ৮৭ বছর বয়সি সর্দার দিদার সিংয়ের কাছে সময় কাটানোর সবথেকে ভালো পথ হল নাতি শুভমনের ব্যাটিংয়ের পুরনো ভিডিয়ো দেখা। নিজেদের বাড়ির উঠানে খাটিয়াতে শুয়ে মোবাইলে নাতির ব্যাটিংয়ের ভিডিয়ো দেখেই এখন বেশিরভাগ সময়টা কাটে তাঁর।
দিদা গুরমাইল কৌরের প্রথম দিকে ক্রিকেটের প্রতি তেমন আকর্ষণ না থাকলেও নাতি খেলা শুরুর পর থেকেই টিভি ছেড়ে উঠতে চান না তিনি। ফাইনাল ম্যাচের আগে তাঁর সোজাসাপ্টা বক্তব্য, ‘আমি (শুভমনের দাদুকে) বলে দিয়েছি ম্যাচ (ফাইনাল) শুরু হলে আমি আমার চেয়ার ছেড়ে উঠব না। এই সময়ে যদি চা খাওয়ার ইচ্ছা হয় তাহলে নিজেকেই করে খেতে হবে।’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মাঠে কেন যান না তাঁরা খেলা দেখতে। যার উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, ‘টিভিতে দেখাটাই অনেক ভালো। কারণ এখানে ওঁর মুখটা আমরা খুব ভালোভাবে দেখতে পাই। মাঠে সেটা সম্ভব নয়। আর সেই কারণেই টিভিতেই শুভমনের খেলা দেখতে আমরা পছন্দ করি।’