হঠাৎই গুরুত্ব বাড়ল প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের মালদহ জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে সরিয়ে সেখানে বসানো হল কৃষ্ণেন্দুকে। তবে মোয়াজ্জেমেরও গুরুত্ব বাড়িয়ে তাঁকে রাজ্য কমিটির সহ–সভাপতি করা হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কৃষ্ণেন্দুর গেরুয়া শিবিরে যুক্ত হওয়া আটকাতে এই পদক্ষেপ? নাকি শুভেন্দু অধিকারীকে ঠেকাতে কৃষ্ণেন্দু তাস খেলল তৃণমূল?
মালদহ জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক কিছু পুনর্বিন্যাসও করা হয়েছে। তৃণমূলের মালদহ জেলা কোর কমিটির সাত সদস্যদের সঙ্গে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) বৈঠকের পর এই রদবদল হয়েছে বলে খবর। মালদহে শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাব–প্রতিপত্তি রয়েছে। কারণ এই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক ছিলেন। এখন তিনি পদ্মাসনে বসেছেন। তাই তাঁকে ঠেকাতেই এই তাস খেলা হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য নেতৃত্ব মালদহের জেলা নেতাদের দ্বন্দ্ব ভুলে ফের এক হয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। আগামী তিন–চারদিনের মধ্যে দলের ব্লক ও অঞ্চল কমিটিগুলি ঘোষণা করতে বলা হয়েছে। এই বৈঠকে দলের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নুরও ছিলেন। তাঁকে তৃণমূলে নিয়ে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই জেলার সংগঠনকে শক্তিশালী ভিতের উপর দাঁড় করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে কৃষ্ণেন্দু বাড়তি গুরুত্ব পেলেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলায় কো–অর্ডিনেটরের সংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে পাঁচজনকে। নতুন দুই কো–অর্ডিনেটর হলেন মোথাবাড়ি বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন এবং জেলা কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা। আপাতত সাবিনাকে নিজের বিধানসভা ও হেমন্তকে হবিবপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর জেলায় কোর কমিটিতে নেওয়া হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষকে।