নির্বাচন কমিশন বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার ইঙ্গিত দেওয়ায় মার্চে পুরভোট করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরভোট হওয়ার কোনও আশা রইল না। বিধানসভা নির্বাচন মিটলে পুরভোট হতে পারে জুলাইয়ে।
বৃহস্পতিবার ফিরহাদ জানান, নির্বাচন কমিশনার মার্চে বিধানসভা নির্বাচনের ইঙ্গিত দেওয়ায় ওই সময় পুরভোট করানো সম্ভব নয়। কারণ, ফেব্রুয়ারিতে ভোট ঘোষণা হলেই প্রশাসন চলে যাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। এমনকী রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটকর্মীও পাবে না। তাই মার্চে পুর নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে।
গত বছপ এপ্রিল থেকে মে-র মধ্যে রাজ্যের ১১২টি পুরসভার পুরবোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়েছে। সেগুলিতে প্রশাসক বসিয়েছে রাজ্য সরকার। অধিকাংশ জায়গায় বিদায়ী পুরবোর্ডের প্রধানকেই মুখ্য প্রশাসকের চেয়ারে বসানো হয়েছে। এপ্রিলে ভোট করানোর তোড়জোড় শুরু হলেও করোনা পরিস্থিতির জেরে তা বাতিল হয়ে যাওয়ায় এই পরিস্তিতি তৈরি হয়।
রাজ্য সরকারের প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা হলেও প্রাথমিক ভাবে সরকারের পাশেই দাঁড়ায় হাইকোর্ট। জানায় মহামারি পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না তারা। পরে একই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে ডিসেম্বরে আদালত জানায় নির্বাচন না করালে সরকারের বসানো প্রশাসক সরিয়ে আদালত প্রশাসক বসাবে। এর পরই মার্চে পুরভোট করাতে উদ্যোগী হয় সরকার।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জুলাইয়ের আগে পুরভোট হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিধানসভা নির্বাচন শেষে নতুন সরকার শপথ নেবে মে মাসে। তার পর পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করলেও জুলাইয়ের আগে ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়।
ওদিকে পুরভোট পিছিয়ে যাওয়ায় মাথায় বাজ পড়েছে বিদায়ী কাউন্সিলরদের। তাদের আশঙ্কা বিধানসভা ভোটের পর পুরভোট হলে যে দল বিধানসভা নির্বাচনে জিতবে পুরসভাগুলি যাবে তাদেরই দখলে। আর যে সব বিদায়ী কাউন্সিলরের এলাকায় যে দল হারবে তাদের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা কম।