এ যেন একে অপরকে বার্তা দেওয়া। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বলেছিলেন, মেঘালয়ে যদি তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলার মতো অবস্থা হবে। আজ, বুধবার মেঘের রাজ্যে প্রচারে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, মেঘালয়ে মুক্তির সূর্য উঠবে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরেই উৎখাত হবে এনপিপি–বিজেপি সরকার। মেঘালয়ের রাজাবালা মাঠের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলে দিলেন, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার পাঁচ বছরে কী করেছে?
এখান থেকে তিনি একাধিক অভিযোগ তুলে যেন অমিত শাহকেই পাল্টা বার্তা দিলেন। আজ, বুধবার অভিষেক প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মেঘালয়ে পাঁচ বছর ডবল ইঞ্জিন সরকার আছে। তাহলে কেন একটাও মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠল না? কেন মেঘালয়ের মানুষের মনের কথা না শুনে মেঘালয়ের জমি অসমের হাতে তুলে দেওয়া হল? কেন দিল্লি, গুয়াহাটি থেকে মেঘালয় চলবে? মেঘালয়ে এমন সরকার গড়তে হবে, যে সরকার মেঘালয়ের মানুষের কথা বলবে। তাই দিল্লি গুজরাট নয়, মেঘালয়ই মেঘালয়ের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে।’
এদিনও মেঘালয় থেকে নিশানা করেন বিজেপিকে। অভিষেক জনসভা থেকে বলেন, ‘মেঘালয়ে পরিবর্তন দরকার, উন্নয়ন দরকার। সেই উন্নয়ন তৃণমূলের হাত ধরেই সম্ভব। কারণ, তৃণমূলই একমাত্র দল যারা মেরুদণ্ড বিক্রি করে না। বিজেপির বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারে শুধু তৃণমূলই। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ব। তবু মাথা নত করব না। মেঘালয়ে আর কদিন বাদেই নতুন সরকার তৈরি হবে। নতুন সরকার গঠন হলে মেঘালয়ের মা–বোনেদের আর কারও কাছে হাত পাততে হবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এখানে বিধানসভা নির্বাচন। যার ফলাফল প্রকাশিত হবে ২ মার্চ। সেখানে আজকের এই নির্বাচনী প্রচার সভায় প্রচুর ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। গারো পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠিত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অভিষেক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার রাজাবালা মাঠের সভায় দেখা গেল থিকথিকে ভিড়। মমতা–অভিষেকের সভাস্থলে মেঘালয়বাসীর জনস্রোত বুঝিয়ে দিল, পাহাড়ি রাজ্যে এবার সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি তৃণমূল কংগ্রেস।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup