সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দু’দিনব্যাপী কর্মবিরতি শেষ হয়েছে। তারপরই এবার ধর্মঘটের ডাক উঠেছে কলকাতা পুরসভায়। এবার বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবিতেই কর্মবিরতি ডেকেছে কলকাতা পুরসভায় সরকার বিরোধী বিভিন্ন ইউনিয়ন। এই আওয়াজ উঠতেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম পাল্টা হুমকি দিয়েছেন। তিনি সরাসরি বার্তা দিয়েছেন, যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বনধ সংস্কৃতির বিরোধী।
ইতিমধ্যেই আগামী ৯ মার্চ সারা রাজ্যে সরকারি দফতর এবং স্কুল–কলেজে ডিএ ইস্যুকে নিয়েই ধর্মঘটে যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এবং রাজ্য কো–অর্ডিনেশন কমিটি। আজ,বুধবারই তারা সরকারকে প্রথামাফিক নোটিশও দিয়েছে। যৌথ মঞ্চ এবং কো–অর্ডিনেশন কমিটি জরুরি বৈঠকে বসে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শহিদ মিনার ময়দানে যৌথ মঞ্চ থেকে ধর্মঘটের কথা ঘোষণা করেন নেতারা। তবে এই নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কারণ, ৯ মার্চ মাধ্যমিকের ঐচ্ছিক বিষয় এবং মাদ্রাসা বোর্ডের হাইমাদ্রাসা দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা রয়েছে।
এদিকে শিলিগুড়িতে এক সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ‘আমরা রাজ্যে কোনও বনধ হতে দেব না। বনধের সংস্কৃতি তৃণমূল কংগ্রেস পছন্দ করে না।’ সরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতি ঠেকাতে নবান্ন কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল। সেখানে চাকরি ছেদের কথাও বলা হয়েছিল। যদিও সেই নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করেই সোমবার এবং মঙ্গলবার জেলায় জেলায় সরকারি কর্মীরাই কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছিলেন।
মেয়র ঠিক কী বলেছেন? অন্যদিকে এবার এই কর্মবিরতির আওয়াজ উঠেছে খোদ কলকাতা পুরসভায়। এটা জানতে পেরেই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘শহরের মানুষের করের টাকায় পুরসভার কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়। পুরসভার কর্মচারীরা তাই নাগরিকদের পরিষেবা দিতে বাধ্য। যাঁরা ওই দু’দিন কাজ করবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু সংখ্যক পুরসভার কর্মচারী ধর্মঘট করতে চাইছেন। সিংহভাগ কর্মচারীই কাজ করতে চান। যাঁদের কাজ করতে অসুবিধা হবে, তাঁরা চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে পারেন।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup