বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > Assembly Election Result: ফল প্রকাশের আগেই বিধায়ক খোয়ানোর ভয় কংগ্রেসের! বিশেষ পদক্ষেপ হাইকমান্ডের

Assembly Election Result: ফল প্রকাশের আগেই বিধায়ক খোয়ানোর ভয় কংগ্রেসের! বিশেষ পদক্ষেপ হাইকমান্ডের

ফল প্রকাশের আগেই বিধায়ক খোয়ানোর ভয় কংগ্রেসের (HT_PRINT)

এর আগে ২০১৭ সালে গোয়ায় কংগ্রেস বৃহত্তম দল হয়েও সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়েছিল।

আর দুইদিন পরই প্রকাশিত হবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল। আর তার আগেই ‘বিধায়ক চুরির’ ভয়ে কাবু হাত শিবির। কংগ্রেসের এই ভয়ের যথেষ্ট কারণও রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে, গোয়া, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করেছে। রাজস্থানেও এমন ভাবেই কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে ফলাফলের পর যাতে পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের বিধায়কদের না ভাঙানো হয়, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ‘নিরাপদ স্থানে’ রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে। খুব সম্ভবত কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে রাখা হতে পারে সব রাজ্যের জয়ী বিধায়কদের।

এই আবহে রাজস্থানের এক কংগ্রেস নেতা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ‘দল মনে করছে যে গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডে তারা সরকার গঠন করতে পারবে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিধায়ক কেনা বেচা রুখতে তারা খুবই তত্পর।’ এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি নাকি ‘বিধায়কদের সুরক্ষিত’ রাখা প্রসঙ্গে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত এবং ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের সঙ্গে আলোচনা করেন রাহুল গান্ধী।

এদিকে সোমবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ‘ব্যক্তিগত কাজে’ জয়পুর আসেন সোমবার। তিনি নাকি অশোক গেহলতের সঙ্গে দেখা করেন। দলের নেতাদের মতে, গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের জয়পুর এবং যোধপুরের হোটেলে রাখা যেতে পারে। এর আগে গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের বিধায়কদেরও এখানে রাখা হয়েছিল।

এর আগে ২০১৭ সালে গোয়ায় কংগ্রেস সর্ববৃহত্ দল হওয়া সত্ত্বেও সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে এবার অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি সিনিয়র পর্যবেক্ষক পি চিদম্বরম এবং গোয়ার ইনচার্জ দীনেশ গুন্ডু রাও দলের কৌশল তদারকি করতে গোয়ায় আছেন। ২০১৭ সালের ভুল যাতে এবার ফের না হয়, তার জন্য তত্পর কংগ্রেস। বাকি রাজ্যের ক্ষেত্রেও বিধায়ক ‘বাঁচাতে’ তত্পর কংগ্রেস।

 

বন্ধ করুন