শিশির গুপ্তা
ছত্তিশগড়ে জয় পেয়েছে বিজেপি। মাওবাদী অধ্য়ুষিত এলাকাতেও ভালো ফল করেছে বিজেপি। সবথেকে বড় কথা মাওবাদী এলাকা বলে পরিচিত বস্তার। সেখানে ১২টি আসনের মধ্যে ৯টি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
ছত্তিশগড়ে সরকার গড়ার পথে বিজেপি। আর বিজেপি সরকার গড়লে ছত্তিশগড়ে নকশালদের কফিনে যে শেষ পেরেক পুঁতে দেবেন মোদী সেটা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্য়েই এনিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় এজেন্সি মাওবাদী দমনে এবার কতটা সক্রিয় হয় সেটাই দেখার।
এদিকে সূত্রের খবর, প্রায় ১২০০ মাওবাদী ক্যাডার দক্ষিণ ছত্তিশগড়ে রয়েছেন। মহারাষ্ট্রের গড়চিড়োলিতেও রয়েছেন মাওবাদীরা। ওড়িশার একাংশেও মাওবাদীদের উপস্থিতি রয়েছে।
এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার ওবিসি ভোটের উপর বেশি নির্ভর করে ফেলেছিল কংগ্রেস। আর সেটা করতে গিয়ে ধীরে ধীরে আদিবাসীরা পাশ থেকে সরে গিয়েছে। সেই সুযোগটাই নিয়েছে বিজেপি।
কংগ্রেস কেন পরাজিত হল তা নিয়ে নানা কাটাছেঁড়া করা হচ্ছে। তবে এটা বলাই যায়, কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব এই পরাজয়ের একটা বড় কারণ। এদিকে শহরাঞ্চলের ভোটারদের মন জয়ে পুরোটাই সমর্থ হয়েছে বিজেপি। বিজেপি এবার একের পর এক ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। কয়লা কেলেঙ্কারি, মদ কেলেঙ্কারি, চাল কেলেঙ্কারি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজেপি দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর জেরে শহরাঞ্চলে ভালো ফল করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে এবার ছত্তিশগড়ে সরকারকে বড় অভিযোগের মুখোমুখি হয়ে হয়েছিল। ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরি মিলেছে এই অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমেছিলেন যুবকরা। তার প্রতিফলন হয়েছে ভোট বাক্সে। অন্যদিকে মদ বন্ধ করা হবে বলে কংগ্রেস ২০১৮ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু সেটা বাস্তবে ফলপ্রসূ হয়নি।
অন্যদিকে আদিবাসীদের মন জয় করতে বিজেপি একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল। এখানেও ছত্তিশগড়ে ডাহা ফেল করে কংগ্রেস। টিএস সিংদেও ও মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের মধ্যে দ্বন্দ্বের মাসুল গুনেছে কংগ্রেস। সেই জায়গায় মোদীর সভা প্রভাব ফেলেছে সাধারণ মানুষের মধ্য়ে।