ভোট আসতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একের পর এক বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিযোগ উঠেছে। এবার মিড ডে মিলের টাকা দিয়ে ভোট কর্মীদের ডিউটির সাম্মানিক দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে কিছু স্ক্রিন শট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তারপরেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন ভোট কর্মীদের একাংশ। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের বক্তব্য, সমাজমাধ্যমে যে সমস্ত স্ক্রিনশট ছড়িয়েছে সেগুলি ভুয়ো। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা হতে পারে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটিতে ব্যস্ত থাকবেন কলকাতা পুলিশের ১২ হাজার কর্মী
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, ভোট কর্মীদের সাম্মানিক দেওয়ার জন্য তহবিল অনেক আগেই এসে গিয়েছে। সেখান থেকেই ভোট কর্মীদের সাম্মানিক দেওয়া হয়েছে। বুধবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে অভিযোগ তোলা হয় ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরেই তাঁদের মোবাইলে সাম্মানিক দেওয়ার জন্য মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, মিড ডে মিলের তহবিল থেকে এই সাম্মানিক দেওয়া হয়েছে। মঞ্চের নেতৃত্বের বক্তব্য, মিড ডে মিলের তহবিল থেকে যে টাকা পাঠানো হয়েছে তা স্পষ্টভাবেই ওই বার্তাতে লেখা রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে পড়ুয়াদের মুখের ভাত কেড়ে নিয়ে তাঁরা সাম্মানিক পেতে চান না। তার পরিবর্তে তাঁরা সাম্মানিক ছড়ায় ভোটের কাজ করবেন। এই ঘটনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের এক শিক্ষকের বক্তব্য, তিনি থার্ড পোলিং অফিসার হিসেবে ভোটের ডিউটি করবেন। সেই হিসেবে তাঁর ১৫২০ টাকা পাওয়ার কথা। প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি মোবাইলে যে বার্তা পেয়েছেন তাতে লেখা রয়েছে মিডে মিলের তহবিল থেকে সেই টাকা দেওয়া হয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশনের তরফে এই টাকা দেওয়া হলেও কোথাও নির্বাচন কমিশনের নাম উল্লেখ করা নেই। তাঁর বক্তব্য, তাহলে ওই টাকা যে নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো হচ্ছে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবে তিনি নিশ্চিত ওই টাকা নির্বাচন কমিশন থেকেই পাঠানো হয়েছে। তার প্রমাণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল কোন অফিসার কত টাকা পাবেন। সে হিসেবে জানানো হয়েছিল থার্ড পোলিং অফিসাররা ১৫২০ টাকা করে পাঠানো হবে। ফলে এই টাকা নির্বাচন কমিশন থেকেই দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে কীভাবে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের তহবিল থেকে সাম্মানিক দেওয়া হচ্ছে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে বিষয়টি সরকারকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।