ফ্লেক্সের উপর বড় বড় করে লেখা,'আমায় ভোট দেবেন না!'। কেন ভোট দেবেন না, নীচে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা। আর একেবারে শেষে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেবার আবেদন। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের কুশাড়,যোগীবেড়,পয়াগ,ধর্মবেড়, ক্ষেত্রহাট, পারুলিয়া ও পাথুরিয়া বুথ এলাকায় এই ফ্লেক্স দেখে হতবাক বাসিন্দারা। পরে বিস্তারিত ব্যাখ্যা পড়ে মিলছে রহস্যের সমাধান।
(পড়তে পারেন। চপ বিক্রেতা রাজু এখন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী, মুরারইয়ের বাসিন্দারা দেখা করছেন)
কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির ২৩ নম্বর আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা মদন কুমার মণ্ডল। তিনি কোলাঘাট ৪ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। দলের নির্দেশে তিনি মনোনয়ন জমা দেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দলের প্রতীক পাননি। তাঁর ২৩ নম্বর আসনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ান বিশ্বজিৎ মণ্ডল। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে পারেননি মদন। তিনি অটোরিক্সা চিহ্নে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ান।
মদন মণ্ডল বলেন,'আমি এক সক্রিয় বিজেপি কর্মী। আমি দলের নির্দেশ মতো মনোনয়ন জমা দিই। কিন্তু আজ্ঞাত কারণে আমি দলের প্রতীক পাইনি। হাত সময় না থাকায় আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেনি। তাই আমি ফ্লেক্স লাগিয়ে প্রচার করেছি। কেউ যেন আমাকে ভোট না দেয়। দলের কোনও ক্ষতি হোক তা চাই না।'
তবে তিনি এও জানিয়েছে, যদি তিনি ভোটে দাঁড়াতেন তবে নিশ্চিত ভাবে সমিতিতে তাঁর বিপুল ভোটে জয় হতো। মদন মণ্ডলের দাবি, গ্রামবাসীরাও ধরে নিয়েছিল তিনি ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণ দলের তিনি শেষ মুহূর্তে দলের প্রতীক পাননি।
তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সমিতিতে বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তিনি বলেন,'মদনবাবু দীর্ঘদিনের কর্মী। কোন অজ্ঞাত কারণে উনি টিকিট পাননি। যেহেতু উনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেননি তাই নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।'
প্রসঙ্গত দলের নির্দল প্রার্থী নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূল। ভোটের আগে থেকে কড়া বার্তা দিয়ে নির্দল হিসাবে দাঁড়ানো বন্ধ হয়নি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তারই মধ্যে কোলাঘাটের নির্দল প্রার্থী নজর কেড়েছ রাজনৈতিক মহলের।