মক্কায় বসে মিনাখাঁয় মনোয়ন পেশ করা তৃণমূল প্রার্থী মহরুদ্দিন গাজির প্রার্থীপদ খারিজ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদালতের নির্দেশের পর তদন্ত করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। মিনাখাঁয় এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে। দেশের নির্বাচনী আইন অনুসারে প্রার্থকে মনোনয়ন পেশ করতে গেলে সশরীরে হাজির থাকা বাধ্যতামূলক।
গত ১০ জুন মিনাখাঁয়া তৃণমূলের হয়ে প্রার্থীপদ জমা দেন মহরুদ্দিন গাজি। সেই মনোনয়ন পরীক্ষার সময় বাতিল হয়নি। ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পেরোলে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। তাদের দাবি, ৪ জুন হজ করতে মক্কা গিয়েছিলেন মহরুদ্দিন। ১৬ জুন ফেরেন তিনি। কী করে তিনি ১০ জুন মনোনয়ন জমা দিলেন? এমনকী মনোনয়ন পত্র ও হলফনামায় তাঁর সই জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
গত ২৪ জুন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়। ২৮ জুন রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয় তাদের। রিপোর্টে কমিশন জানায়, জালিয়াতি করে মনোনয়ন পেশ করেছেন ওই ব্যক্তি। এর পরই কমিশনকে ওই ব্যক্তির প্রার্থীপদ খারিজ করতে নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন খারিজ করল কমিশন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিদেশে থেকে জালিয়াতি করে মনোনয়নের ঘটনা বিরল। প্রশাসনের সঙ্গে বোঝাপড়া না থাকলে এভাবে মনোনয়ন পেশ সম্ভব নয়। এমনকী মনোনয়ন পরীক্ষার সময়ও কেন বিষয়টি ধরা পড়ল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিডিওর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে তারা। যদিও ঘটনার দায় নিতে অস্বীকার করেছে তৃণমূল।