পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। তাই সব জেলাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযোগ, শতাধিক সরকারি কর্মী এই প্রশিক্ষণে অংশ নেননি। এই তথ্য সামনে আসতেই প্রায় ৩০০ জন সরকারি কর্মীকে শোকজ করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। এই ঘটনা নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এত সংখ্যক সরকারি কর্মীকে শোকজ আগে কখনও দেখা যায়নি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সরকারি কর্মীদের ভোটকর্মী হিসাবে কাজে লাগানো হয়। তার জন্য নিতে হয় প্রশিক্ষণ। না হলে মানুষকে অর্থাৎ ভোটারদের সাহায্য করা সম্ভব নয়। অনেক ভোটারই ভোটকেন্দ্রে এসে খেই হারিয়ে ফেলেন। তখন তাঁদের দিশা দেখাতে হয়। কিন্তু সরকারি কর্মীরা প্রশিক্ষণ না নেওয়ায় শোকজ করা হয়েছে। এমনকী আগামী দুদিনের মধ্যে এই ৩০০ জনকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে ৷ সেখান থেকে আরও জানা গিয়েছে, শোকজের জবাব ঠিকঠাক না হলে এই সমস্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক স্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে হাতে আর ৮ দিন বাকি। তারপরই রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনী কাজের জন্য ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মীদের ডিউটি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এই ডিউটি রস্টারে শিক্ষকরাও আছেন। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্তও মামলা গড়িয়েছে। সেখানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে প্রশাসন প্রায় ৬ হাজার কর্মীকে পঞ্চাযেত নির্বাচনের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। তাই সকল কর্মীদের ভোটের জন্য প্রতিটি ব্লক স্তরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৷ আর সেই প্রশিক্ষণ নেননি প্রায় ৩০০ জন সরকারি কর্মী বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘ওনাকে এলাকায় থাকতে বলবেন’, বিধায়ককে দেখতে না পেয়ে মেজাজ দেখালেন মানস
তারপর ঠিক কী ঘটল? অন্যদিকে এই ৬ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রায় ৩০০ জন সরকারি কর্মী প্রশিক্ষণ নেননি। এই অভিযোগ সামনে আসায় তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করল জেলা প্রশাসন। প্রশিক্ষণ না নেওয়া ৩০০ জন সরকারি কর্মচারীকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজের জন্য ৬ হাজার কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। আমরা জানতে পেরেছি তার মধ্যে ৩০০ জন প্রশিক্ষণ নেননি। তাই তাঁদের শোকজ করা হয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে।’