চোপড়ার রেশ কাটতে না কাটতেই গুলির শব্দে কেঁপে উঠল ভাঙড়। এই ভাঙড়ে দু’দিন আগে গুলি–বোমাবাজির জেরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমাকে ঘিরে সংঘর্ষ দেখা দিয়েছিল আইএসএফ–তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। এবার আজ বৃহস্পতিবার সেখানে আবার চলল গুলি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ভাঙড়। মুড়ি মুড়কির মতো পড়ছে বোমা। বোমা–গুলির শব্দে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে ভাঙড়ে। রণক্ষেত্র ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ওই আইএসএফ কর্মীর নাম মহম্মদ মহিদ্দিন মোল্লা।
এদিকে দুপুরের পর থেকেই এলাকায় মুহুর্মুহু বোমা চার্জ করা হচ্ছে। লাগাতার চলছে গুলি। অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। লাঠি ,বাঁশ হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একদল দুষ্কৃতী। শাসক–বিরোধী কোন পক্ষের তা বোঝা যাচ্ছে না। ভাঙড়–২ ব্লকের বিডিও অফিস চত্বরে তুমুল বোমাবাজি শুরু হয়েছে। বোমা ধোঁয়ায় চারদিক অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছে। বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকাতেও শুরু হয়েছে বোমাবাজি। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস অন্যদিকে আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়।
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে সিপিএম প্রার্থীদের সঙ্গে একপ্রস্থ মারপিঠ হয়েছে এখানে। দুপুরে চালতাবেড়িয়া এবং নিমগড়িয়া আসা আইএসএফের সদস্যরা এসে এই গোলমাল পাকাতে শুরু করে। পাল্টা তখন আসরে নামে তৃণমূল কংগ্রেসও। দু’পক্ষই লাগাতার বোমাবাজি করতে থাকে। এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বাহিনী নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে আসেন। তবে বড় কোনও ‘অ্যাকশন’ নিতে দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ। যদিও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান বলেন, ‘আমরা বড় ফোর্স নিয়ে রয়েছি। দুষ্কৃতীদের খোঁজ করা চলছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। আমরা অপেক্ষায় আছি। পরিস্থিতি বুঝে পুলিশ এগোবে।’
আর কী ঘটছে সেখানে? আজ, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পর্ব শেষ হলেও অশান্ত রয়েছে ভাঙড়। গুলি–বোমা তাঁদের তাক করে ছোড়া হয় বলে আইএসএফ নেতাদের অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক আইএসএফ কর্মী। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব আইএসএফের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কারণ এটা তাঁদের মধ্যেকার সমস্যা। তা থেকেই চলেছে গুলি। পাল্টা আইএসএফ বোমাবাজি করেছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে খবর দিয়েছে বাহিনী বাড়ানোর জন্য।