আগামী ৮ জুলাই রাজ্যজুড়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী গ্রামবাংলার পথঘাটে টহল দিতে শুরু করেছে। আরও কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বাংলায়। রবিবারের মধ্যে তা চলে আসবে বলে সূত্রের খবর। এই আবহে নয়া রণকৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে। তাই ছাপানো হয়েছে লিফলেট। হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় এই লিফলেট ছাপানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
ঠিক কী থাকছে লিফলেটে? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, বাংলায় আসছে সিআরপি, আইটিবিপি, বিএসএফ, সিআইএসএফের মতো বাহিনী। তাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামবাংলার উন্নয়ন কেমন করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেটা ভিন রাজ্যের কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের জানানো হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডা, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলি লিফলেট আকারে সাজিয়ে তুলে দেওয়া হবে জওয়ানদের। এটা করার একমাত্র কারণ হল পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের রাজ্যে ফিরে গিয়ে বাংলার উন্নয়নের কথা বলতে পারেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই উন্নয়ন ও লিফলেট নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে কুণাল ঘোষের। এমনই দাবি করেছেন তিনি। কুণাল ঘোষের মুখে বাংলার এই উন্নয়নের ফিরিস্তি শুনে সেই জওয়ান বেশ অবাক হয়েছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এই নয়া উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছে বঙ্গ–বিজেপি। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আক্রমণ করে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনই তৃণমূল। আর তৃণমূলই রাজ্য নির্বাচন কমিশন।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি নিয়ে আওয়াজ তুলেছে বিরোধীরা। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের মত, রাজ্য পুলিশ দিয়েই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা সম্ভব। তবে এই টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে বাংলায়।
আরও পড়ুন: বিজেপির পতাকায় কন্ডোম লাগানোর অভিযোগ, জলপাইগুড়িতে তুলকালাম কাণ্ড
ঠিক কী বলছেন কুণাল ঘোষ? এই নতুন আঙ্গিকে প্রচার নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘রাজ্যের নানা প্রান্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে আমরা লিফলেট তুলে দেব। হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় এই লিফলেট ছাপা হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের হাতে আর্থিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি লিফলেটে লেখা থাকবে। ছাত্র, যুব, শ্রমিকদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলিও সেখানে উল্লেখ করা থাকবে। রাজ্য উন্নয়নের অগ্রগতির মধ্যে দিয়ে চলছে। এই উন্নয়নের ধারাকে তৃণমূল কংগ্রেস যখন অব্যাহত রাখতে চাইছে, তখন বিরোধীরা তাতে বাধা দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে পাঠানো হচ্ছে। তাই তাঁদের কাছে আমরা রাজ্যের প্রকল্পগুলি তুলে ধরা হবে।’