বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অসিত মালের ভাইপো রূপেশ মাল। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে অত্যন্ত মনমরা তিনি। তাঁর সাফ কথা মন দিয়ে দলটা করতাম। কিন্তু তাঁর থেকেও কম জনসংযোগ রয়েছে এমন ব্যক্তি পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছেন। এদিন একেবারে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহার উপস্থিতিতে রামপুরহাট দলীয় কার্যালয়ে অফিসে রূপেশ মালের হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেন।
এদিকে রূপেশ মালের দাবি, তৃণমূলে সম্মান পাইনি। তাই বিজেপিতে গেলাম। সেই সঙ্গেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বীরভূম। অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সেখানে কার্যত মাথা তুলতে পারতেন না বিরোধীরা। কিন্তু সেই অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে তিহাড় জেলে দিন কাটাচ্ছেন। এবার আর প্রকাশ্য়ে গুড় বাতাসা কিংবা চড়াম চড়ামের দাওয়াই দিতে পারেননি তিনি। আর সেই বীরভূমেই একেবারে তৃণমূলের সাংসদের ভাইপোই একেবারে ভোট পর্বের মধ্যে যোগ দিলেন বিজেপিতে।
তিনি বলেন, রাজমিস্ত্রি, কোনওদিন সমাজের কাজ করেনি। তাকেই টিকিট দিয়েছে দল। আমি কষ্ট করে ৫০০ লোক নিয়ে মিছিল করি। আর আমিই টিকিট পাইনি। তবে রূপেশের এই বক্তব্যকে ঘিরে বিশেষ আমল দিতে চায়নি তৃণমূল।
এদিকে ভোটপর্বের মধ্যেই অসিত মালের ভাইপোর এই দল পরিবর্তনকে ঘিরে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদলের একাংশ। তবে প্রকাশ্যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না দল। অন্য়দিকে রূপেশকে দলে টেনে শেষ পর্যন্ত বিজেপি কতটা সুবিধা করতে পারবে সেটাই এখন দেখার।
তবে সূত্রের খবর, ভোটে টিকিট পাবেন বলে আশা করেছিলেন রূপেশ মাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার ভাগ্য়ে শিকে ছেড়েনি। এরপরই তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন । এমনকী তিনি দল ছাড়ার কারণও জানিয়ে দেন। টিকিট না পাওয়ার জন্যই যে তিনি দল ছেড়েছেন সেকথাও জানিয়ে দেন তিনি। তবে অনুব্রতর খাসতালুক বীরভূমে ভোটপর্বে এটা নিঃসন্দেহে অন্যরকম ছবি।