আজ মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা। আর তার প্রাক্কালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। জোর করে স্ট্রং রুমে ঢোকার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই বিজেপি–তৃণমূল সংঘর্ষ বেধে গেল। আর তার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল সেই কোচবিহারের দিনহাটায়। এই সংঘর্ষের জেরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল দিনহাটার শাসক দল–প্রধান বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের মধ্যে। এখানে দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে এনেছেন কারচুপির অভিযোগ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকী পুনর্নির্বাচন পর্যন্ত শান্তিতেই মিটেছে। তারপর ব্যালট বক্স এখন স্টং রুমে। যা আজ খোলা হচ্ছে সকাল ৮টায়। সোমবার রাতে দিনহাটা হাইস্কুলের সামনে ঘটে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এই স্কুলেই করা হয়েছে গণনা কেন্দ্র। সেখানেই মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয় তৃণমূল–বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। পুনর্নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ব্যালট বাক্স গণনা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন দুই দলের রাজনৈতিক নেতারাই স্ট্রংরুমে ঢোকার চেষ্টা করেন। আর তা নিয়ে বাধে দফায় দফায় সংঘর্ষ।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতারা। আর তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই তৃণমূল–বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। জোর স্ট্রং রুমে ঢোকার অভিযোগ ওঠে দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই। তখন সেখানে আসেন বিজেপি নেতা অজয় রায়। দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ আরও বড় মাত্রা পেতে শুরু করে। এই তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উদয়ন গুহর গাড়ি। রাতের অন্ধকারে স্ট্রং রুমে ঢোকার অভিযোগ ওঠে পরস্পরের উপর। তা নিয়েই হয় মারামারি।
আরও পড়ুন: বিএসএফের আইজি’র কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের, বুধবার শুনানি
ঠিক কে, কি বলছেন? দিনহাটার এই ঘটনা রাতারাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দুই দলের রাজ্য দফতরে খবর পৌঁছে যায়। তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দিনহাটা হাইস্কুল ব্লক ১। সেখানে বিজেপির স্থানীয় এক নেতা অজয় রায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে স্ট্রং রুমে ঢুকে গিয়েছিল। ব্যালট বক্স ভাঙচুর করে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল। তারই প্রতিবাদ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।’ আর বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘তৃণমূল বুঝে গিয়েছে মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখান করেছে। তাই স্ট্রং রুমে গিয়ে আক্রমণ করছে।’ এসবের পাল্টা দিয়েছেন দিনহাটার বিধায়ক তথা মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর কথায়, ‘বিডিও–র সঙ্গে কথা হয়েছে। ওখানে বেআইনি কাজ হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা বেআইনি কাজ করে বিজেপির একজনকে ঢুকতে দিয়েছিল। স্ট্রং রুমে একটি মাছি ঢোকারও পারমিশন নেই। এভাবে বিজেপি ভোটে জেতার চেষ্টা করছে।’