গ্রামবাংলা কার? এই প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। এই আবহে মানুষজন ফলাফলের তথ্য জানতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু পারলেন না। তখন থেকেই সন্দেহ শুরু হয়। পরে জানা যায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করেছে। আজ, মঙ্গলবার সকালে নানা গণনাকেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগণনা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। রাজ্যের ২২টি জেলার গ্রামীণ মানুষজনের মতামত ব্যালট বাক্সে বন্দি। সেগুলি রয়েছে ৭৬৭টি স্ট্রংরুমে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মোট ৩৩৯টি ভোট গণনাকেন্দ্রে সেই ব্যালট বাক্স খোলা শুরু হয়েছে।
এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ক্লিক করলে ‘গেটওয়ে টাইম আউট’ লেখা ভেসে উঠছে কম্পিউটারে। তার জেরে এই ওয়েবসাইটে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের দিনকে রাজ্য–রাজনীতিতে মেগা ইভেন্ট ধরা হয়। সেখানে এমন ডাহা ফেল করার ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাহলে কি যান্ত্রিক সমস্যায় পড়ল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট? উঠছে প্রশ্ন। ভোট গণনা কেন্দ্রগুলিতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গণনাকেন্দ্রের ধারেকাছে কোনও জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক কেন্দ্রে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ৩৩৯টি কেন্দ্রে গণনার প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তার পর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সব শেষে জেলা পরিষদের আসনে গণনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নির্বাচন এবং তার ফলাফল সম্পর্কিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। রাজ্যের মানুষের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমও এখান থেকে তথ্য নেয়। এখন সবাই জানতে চাইছেন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে শাসক–বিরোধী কে, কেমন ফল করল? এই ওয়েবসাইটকে সচল করতে গেলে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়। এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোনও মন্তব্য করেনি। তবে গণনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে ভোট গণনাকেন্দ্রে। এমনকী গণনাকেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। এক কোম্পানি আধাসেনা জওয়ানদের নিয়ে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলির পাহারায় মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা শুরু, মার খেল সিপিএম, ডায়মন্ডহারবারে বোমাবাজির অভিযোগ
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ঠিক করার কাজ চলছে। কারণ এটাও দেখা হবে। এই কাণ্ড নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ৩৩৯টি ভোটগণনা কেন্দ্রে স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ফল ঘোষণা করবেন বিডিও। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে একজন করে অফিসার আছেন।