ভাবা যায়! দিল্লি ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সেখানে ভোটের ফলাফল বের হতেই দেখা গেল এবছর অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট ইউনিয়ন( AISA) ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই নোটা অর্থাৎ নান অফ দ্য অ্যাবাভ অপশনের থেকেও কম ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ এসএফআই, আয়সাকে টপকে গিয়েছে নোটা। বামপন্থীদের আগে নোটার স্থান।
দেখা যাচ্ছে সব মিলিয়ে ১৬,৫৫৯টি ভোট পড়েছে নোটার ঝুলিতে আর আয়সার প্রার্থী পেয়েছেন ১৪.৯০৬টি ভোট। আর এসএফআই ভোট পেয়েছে ১৩,২০৫টি।
এবার যুগ্ম সম্পাদক পদের জন্য ভোটাভুটি হয়েছিল। সেখানে নোটা পেয়েছে ৪,৭৮৬টি ভোট। আর এসএফআই পেয়েছে ৩৩১১টি ভোট। আর আয়সা পেয়েছে ৪১৯৫টি ভোট। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভোটের লড়াইতে আয়সার অনুষ্কা চৌধুরী ৩৪৯২টি ভোট পেয়েছেন। নোটা পেয়েছে ৩৯১৪টি ভোট। আর এসএফআইয়েরক অঙ্কত পেয়েছেন ২৯০৬টি ভোট।
এবার সংসদ সভাপতি পদের দিকে একবার দেখা যাক। সেখানেও কার্যত একই পরিস্থিতি। সেখানেও একেবারে প্রথম স্থানে রয়েছে নোটা। নোটার প্রাপ্ত ভোট ২৭৫১। এসএফআই পেয়েছে ১৮৩৮। আর আয়সা রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
সেক্রেটারি পদের জন্য লড়াইতে নোটা পেয়েছে ৫১০৮টি ভোট। আর এসএফআই পেয়েছে ৫১৫০টা ভোট।
একেবারে তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল। লাইন দিয়ে পড়ুয়ারা দল বেঁধে নোটায় ভোট দিয়ে এসেছেন। এদিকে এর আগে আয়সা ও এসএফআই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা যৌথভাবে লড়াই করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত সামনে এসেছে এই ফলাফল।
তবে সব মিলিয়ে এভাবে নোটার বাড়বাড়ন্ত অবশ্য় অন্যরকম ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এদিকে আয়সার এক নেতৃত্ব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোভিডের কারণে আমাদের অনলাইনে ক্লাস হয়েছিল। তার মধ্যে অনেকে পাশ করে বেরিয়ে গিয়েছেন। তারপর ক্লাস শুরু হল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সেভাবে প্রচার করা যায়নি। তাছাড়া অন্যদের যেমন টাকাপয়সা ও বাহুবলী নিয়ে এসে ভোট করানোর ব্যাপার রয়েছে সেটা আমরা করিনি। তবে ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষন করা হবে।