বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > ব্যালটের বদলে আসছে ইভিএম, অসম পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনে একাধিক সংশোধনী

ব্যালটের বদলে আসছে ইভিএম, অসম পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনে একাধিক সংশোধনী

ব্যালটের বদলে আসছে ইভিএম, অসম পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনে একাধিক সংশোধনী (প্রতীকি ছবি) (PTI)

গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের ম্যাট্রিকুলেশন পাস করতে হবে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে এবং আঞ্চলিক এবং জেলা পরিষদের সদস্যদের পাস করতে হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।

দেশজুড়ে বিরোধী শিবির দাবি তুলেছে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাতিল করতে হবে ইভিএমে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। তার বদলে ফিরিয়ে আনতে হবে ব্যালট পেপার। ইভিএম কারচুপির অভিযোগের মঝেই এবার অসমের পঞ্চায়েত স্তরে ব্যবহৃত হতে চলেছে ইভিএম মেশিন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার শুরু হতে চলেছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার। অসমের মন্ত্রিসভায় সম্প্রতি পঞ্চায়েত ইলেকশনে ইভিএম-এর ব্যবহার চালু করার জন্য পঞ্চায়েত আইনের বেশ কিছু বিধানের সংশোধনী অনুমোদিত হল। এর পাশাপাশি প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বৈবাহিক বয়সের বৈধতা ও আরও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয় এবং সংশোধনী আসে।

(আরও পড়ুন: IND vs PAK Records: আগে ছিল ১৪০ রান, এবার হল ২২৮! ইতিহাসে পাকিস্তানকে সর্বাধিক মার্জিনে হারাল ভারত)

অসমের মন্ত্রিসভার আলোচনায় সংশোধনী বিধানে বলা হয়েছে জেলা পরিষদ আঞ্চলিক পরিষদ এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির নির্বাচনী এলাকার আকার নির্ধারণের জন্য একটি জেলা সীমানা কমিশন গঠন করা হবে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলাগুলির শ্রেণিবিভাগ হবে এবং সেই অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিও পুনর্গঠিত এবং পুনর্বিন্যস্ত করা হবে বলে জানিয়েছে অসম সরকার। শিক্ষাগত যোগ্যতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে অসম মন্ত্রীসভা। এই সংশোধনীতে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের ম্যাট্রিকুলেশন পাস করতে হবে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে এবং আঞ্চলিক এবং জেলা পরিষদের সদস্যদের পাস করতে হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে সংরক্ষণের আওতায় থাকা তপশিলি জাতি, উপজাতি গোষ্ঠীসমূহের সদস্যদের ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই হবে।

(আরও পড়ুন: Modi Vs Mamata: PM পদে মোদীর বিকল্প মমতা, মনে করছেন দেশের মাত্র ২.৭ শতাংশ মানুষ, বলছে সমীক্ষা

শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যদি বৈধ বিবাহের বয়স লঙ্ঘন করে থাকেন এবং তার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তার সদস্যপথ খারিজ হতে পারে। এছাড়া রাজনৈতিক দলের সদস্যরাও যদি সেই দল ত্যাগ করে, তাহলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অযোগ্য ঘোষণা হতে পারেন সেই জনপ্রতিনিধি, এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ এবং আঞ্চলিক পরিষদের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতীক দেওয়া হলেও গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীদের কোনও দলীয় প্রতীক থাকবে না বলে জানিয়েছেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা।

বন্ধ করুন