মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে সেভাবে ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে মমতার দল অঘটন ঘটিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার ভাই তথা রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী জেমস সাংমাকে হারিয়ে। ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী রূপা মারাকের কাছে হেরে গেলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) নেতা জেমস সাংমা। দাদেংরে আসন থেকে জিতে গিয়েছে তৃণমূল। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এটাই প্রথম আসন জয়। উল্লেখ্য, জেমস ও কনরাডের বাবা পিএ সাংমা এককালে মমতার দলের টিকিটেই সাংসদ হয়েছিলেন। মমতার এককালের সেই সতীর্থকে হারিয়েই মেঘালয়ের বিধানসভায় খাতা খুলল তৃণমূল কংগ্রেস। (মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের লাইভ আপডেট)
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে দু'জন সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। একজন ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরজন পূর্ণ সাংমা। এনপিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার বাবা। তাই মেঘালয়ে তৃণমূলের অস্তিত্ব আগেও ছিল। তবে নতুন করে সেই রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠিত করতেই ভোট যুদ্ধে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
এবার মেঘালয়ে বিরোধী ভোটে থাবা বসাতে সক্ষম হলেও 'কিংমেকার' হতে পারল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ঘাসফুল শিবির নিজেরা সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদী ছিল। তবে ডবল ডিজিটেও যেতে পারল না ঘাসফুল শিবির। এই আবহে কংগ্রেসের কপাল পুড়ল কতকটা। যা নিয়ে কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কথার লড়াইও হয়েছে। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ভাঙিয়েই এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছিল তৃণমূল। দেখা গিয়েছে, কংগ্রেস ও তৃণমূলের ভোটের হার প্রায় সমান সমান। দুই দলই এগিয়ে পাঁচটি করে আসনেই।
গতবার মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কোনও আসন পায়নি। সব আসনেই জামানত জব্দ হয়েছিল। সেই নিরিখে দেখতে গেলে পাঁচটি আসনে জিততে পারলে তা তৃণমূলের কাছে বড় প্রাপ্তি। তবে কংগ্রেসের অধিকাংশ বিধায়ক ভাঙিয়ে এনে দল ভারী করেছিল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, দিল্লির পর পঞ্জাবে জিতে আম আদমি পার্টি জাতীয় রাজনীতিতে বড় ছাপ ফেলেছিল। সেই পথে এগিয়েই ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের দিকে পা বাড়িয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় আশা ভঙ্গ হলেও মেঘালয়ে কংগ্রেস ভাঙিয়ে নিজেদের দলকে শক্তিশালী করেছিল তৃণমূল। সেখানে প্রচারের ওপরও জোর দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। মেঘালয় ধরেই দিল্লির হাইওয়ে তৈরির করার স্বপ্ন দেখেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে সেই আশায় জল ঢেলেছে ভোটের ফল। প্রাথমিক ট্রেন্ডে তৃণমূল চমকপ্রদ ভাবে ১৯টি আসনে এগিয়ে গেলেও সেই ট্রেন্ড ধরে রাখতে পারেনি তারা।