তিন রাজ্যের ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হল আজ - নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও ত্রিপুরা। এই তিন রাজ্যের মধ্যে দু'টিতে জয়ী বিজেপি জোট। মেঘালয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। তবে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী এনপিপি।
মেঘালয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল হয়। সভায় অভিষেক বলেন, অধিকারের লড়াই চলছে মেঘালয়ে। মেঘালয়ের পতাকা গোটা দেশে উড়বে। ৫ বছরে দেখুন আচ্ছা দিন আসেনি।
মেঘালয়ের রাজনীতিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গারো হিলস এক তাৎপর্য ভূমিকা পালন করতে চলেছে। বিজেপি চাইছে গারো হিলস থেকে একটা বড় অংশের ভোট নিজের ঝুলিতে রাখতে । এই এলাকায় মেঘালয়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তৃণমূলের মুকুল সাংমা ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা এই এলাকায় ভোট যুদ্ধে রয়েছেন। এদিকে গারো হিলসের দক্ষিণ তুরা থেকে কনরাডের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে লড়ছেন বার্নার্ড।
মেঘালয়কে ঢেলে সাজাতে এবং মানুষের জীবনের উন্নয়ন ঘটাতে ইস্তেহার তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মহিলারা ভাল সাড়া দিচ্ছেন। বিধানসভা নির্বাচন ২৭ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়ন দাখিল শুরু ৩১ জানুয়ারি। এবার ছেড়ে যাওয়া আসনে নতুন প্রার্থী দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় বিধানসভার ৫২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল।
সম্প্রতি মেঘালয়ে গিয়ে গারো পার্বত্য অঞ্চলে একটি জনসভা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভারই একটি অংশ নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় 'মিম' তৈরি হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে মমতাকে সুর করে 'কুকু' বলে ডাকতে শোনা যাচ্ছে।
মেঘালয়ের ভোটপর্বে মূলত যে ফ্যাক্টরগুলি কার্যকর রয়েছে, তা হল শাসক বিরোধী হাওয়া। বলা হচ্ছে, মেঘালয়ের রাজনীতিতে বহুবার ভোটে প্রকট হয় শাসকবিরোধী হাওয়া। এই মুহূর্তে কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন এনপিপি সরকার দুর্নীতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার খারাপ অবস্থা, বেকারত্বের মতো চ্যালেঞ্জে জর্জরিত।
মেঘালয়ে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে ২১ বছর থেকে ৪০ বছর বয়সি বেকার যুবক–যুবতীদের জন্য প্রত্যেক মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছরের মধ্যে তিন লাখ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা আছে। মহিলাদের জন্য মাসে হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।