শিয়রে লোকসভা ভোট। তার আগে, দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পন্ন হয়েছে ভোট প্রক্রিয়া। রবিবার ২৫ মার্চ গণনা শুরু হতেই লড়াইতে ‘কাঁটে কি টক্কর’ দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, দেশের বাম রাজনীতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোট গণনায় দেখা গিয়েছে ৪ টি পদের দৌড়ে কয়েকটিতে প্রথমের দিকে আরএসএসের যুব সংগঠন এবিভিপির প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও পরে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হতে শুরু করেছে। এই হাইভোল্টের ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে দেশের রাজনীতির একটা বড় অংশ।
কোভিড ঘিরে গত ৪ বছরের নানান পর্ব পার করে ২০২৪ সালে শেষমেশ ভোট হচ্ছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভোটের দৌড়ে রয়েছে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (AISA), ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস ফেডারেশন ((DSF), স্টুডেন্ড ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (SFI) অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট ফেডারেশন (AISF), এই বাম সংগঠনগুলি একত্রে লড়ছে আরএসএস-অধিভুক্ত অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) এর বিরুদ্ধে। এছাড়াও ভোট যুদ্ধে নেমেছে একাধিক সংগঠন। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এবিভিপি-র প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী উমেশ চন্দ্র এখনও পর্যন্ত গণনা করা ১৯৯৫ ভোটের মধ্যে ১১৬২টি পেয়েছেন, যেখানে বাম মনোনীত প্রার্থী ধনঞ্জয় ১৩৬১টি ভোট পেয়েছেন (গণনা চলছে)। ভাইস প্রেসডেন্ট পদে এবিভিপির প্রার্থী ৯৮৪ ভোট, বামেরা ১২১৪ টি ভোট পয়েছেয়েছে (গণনা চলছে)। প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সালে সালে জেএনইউ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির দাপট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে ছিল প্রকট। বিশেষ করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর সাথে যুক্ত স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসএফআই), ছাত্র রাজনীতিতে শক্তিশালী প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির আনাচ কানাচে দেখা গিয়েছে গত কয়েক দশকে। তবে চলতি বছরের ভোটে খেলা ঘুরবে কি না, সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন।
এদিকে, পরিসংখ্যান বলছে, জেএনইউএর ছাত্র ইউনিয়নের ভোটে রেকর্ড ভোট পড়েছে চলতি বছরের ভোটগ্রহণে। ৭৩ শতাংশ ভোট এবছর পড়েছে। যা গত কয়েক দশকের মধ্যে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। জোরদার স্লোগান, উল্লাস, ছাত্র যুব সমাজের চেনা উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত ২২ মার্চ সেখানে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। তবে গত ১২ বছরে জেএনইউতে ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েনি বলে দাবি করছে বহু মিডিয়া রিপোর্ট। ৭৭৫১ সংখ্যক ভোটার সংখ্যা নিয়ে চার পদের জন্য ভোট হয়েছে জেএনইউয়ের ছাত্র ইউনিয়নে। পদগুলি হল, প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারি, জয়েন্ট সেক্রেটারি। শেষবার ২০১৯ সালে জেএনইউএর ভোটে ভোট পড়েছিল ৬৭.৯ শতাংশ। বলছে , ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদনে প্রকাশিত পরিসংখ্যান।